Advertisement
Advertisement
Imran

কয়েদি ইমরানের জন্য খরচ হচ্ছে লাখ লাখ টাকা, কেন?

পাকিস্তানের আদিয়ালা জেলে বন্দি রয়েছেন ইমরান খান।

Imran's jail security measures cost millions monthly

ফাইল ছবি

Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:April 10, 2024 8:06 pm
  • Updated:April 10, 2024 8:09 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর নেতৃত্বেই প্রথম ক্রিকেট বিশ্বকাপের ট্রফি এসেছে ঘরে। কিন্তু বর্তমানে সেই বিশ্বজয়ী অধিনায়কের দিন কাটছে গরাদের পিছনে। কিন্তু জেলের ভিতরেও তাঁর ‘খাতির যত্নে’ কোনও ত্রুটি রাখা হচ্ছে না। এই মুহূর্তে চরম আর্থিক সংকটে ধুঁকছে পাকিস্তান। তবু কাপ্তানের জন্য মাস গেলে কম করে ১২ লক্ষ টাকা খরচ করছে জেল কর্তৃপক্ষ।  

গত বছরের ৫ আগস্ট তোষাখানা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন ইমরান। প্রথমে তাঁর ঠাঁই হয়েছিল পাঞ্জাব প্রদেশের অটোক জেলে। সেখান থেকে তাঁকে স্থানান্তর করা হয় রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে। সম্প্রতি লাহোর হাই কোর্টের কাছে প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর সুরক্ষায় যা যা ব্যবস্থাপনা রয়েছে তা নিয়ে একটি রিপোর্ট পেশ করে আদিয়ালা জেল কর্তৃপক্ষ। সেখানে উল্লেখ করা হয় ইমরানের নিরাপত্তা রক্ষার মাসিক খরচ ১২ লক্ষ টাকা। 

Advertisement

আদিয়ালার জেল সুপারের দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ইমরানের জন্য জেলের ভিতরে লাগানো হয়েছে ৫ হাজার টাকার সিসিটিভি। যা কারাগারের অন্য বন্দিদের তত্ত্বাবধানে জন্য রাখা ক্যামেরা থেকে আলাদা। জেলে রয়েছে কাপ্তানের জন্য আলাদা রান্নাঘর। সেখানে সর্বক্ষণ পাহারায় থাকে একজন। রান্নার পর ওই খাবার চেখে দেখেন অন্য আরেক ব্যক্তি। এছাড়াও তাঁর জন্য রয়েছে ছয় সদস্যের বিশেষ মেডিক্যাল টিম। যাঁরা রোজ ইমরানের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেন। জেলের সাতটা বিশেষ সেলের মধ্যে দুটি বরাদ্দ রয়েছে তাঁর জন্য। এমনকি সেখানে তাঁর হাঁটাচলা করার জন্যও আলাদা জায়গা তৈরি করা হয়েছে। এই এত কিছুর জন্য প্রত্যেক মাসে গুণতে হয় মোটা টাকা। 

Advertisement

উল্লেখ্য, তোষাখানা মামলায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর স্ত্রীকে ১৪ বছর জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। বিপুল অঙ্কের জরিমানাও করা হয়েছিল তাঁদের। পাশাপাশি বলা হয়েছিল, আগামী ১০ বছর তাঁরা কোনও সরকারি পদে বসতে পারবেন না। এই রায়ের জন্যই দেশের সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেননি ইমরান। যা দেখে তাঁর দল পিটিআই-এর একাংশের দাবি, প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীকে ভোটের লড়াই থেকে দূরে রাখতেই এই রায় দিয়েছিল আদালত।

কিন্তু ১ এপ্রিল ১৪ বছরের হাজতবাসের রায়ে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল ইসলামাবাদ হাই কোর্ট। দের ছুটির পর মামলার শুনানি হবে, তার পরই চূড়ান্ত রায় দেবে আদালত। তবে রায়ে স্থগিতাদেশ দিলেও জেল থেকে মুক্তি পাবেন না ইমরান খান ও তাঁর স্ত্রী বুশরা বিবি। কারণ অন্যান্য একাধিক মামলায়ও সাজাপ্রাপ্ত এই দম্পতি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ