Advertisement
Advertisement
Syria

গৃহযুদ্ধে বিধ্বস্ত সিরিয়ায় শান্তি ফেরানোর উদ্যোগ, রাষ্ট্রসংঘে অবস্থান স্পষ্ট করল ভারত

আগামী ১২ মাস সিরিয়ায় ত্রাণ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ।

India again affirms commitment to Syrian-led, Syrian-owned UN-facilitated political process | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:July 10, 2021 9:52 am
  • Updated:July 10, 2021 9:52 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গৃহযুদ্ধে রক্তাক্ত সিরিয়ায় (Syria) শান্তি ফেরাতে উদ্যোগী ভারত (India)। তবে শান্তি স্থাপনে রাষ্ট্রসংঘের উদ্যোগে প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক প্রক্রিয়াটির চালিকাশক্তি হবে দেশটি খোদ। শুক্রবার নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে আন্তর্জাতিক মঞ্চটিতে এমনটাই জানিয়েছে ভারত।

[আরও পড়ুন: আফগানিস্তানের ৮৫ শতাংশ অঞ্চল দখলে, তুমুল লড়াইয়ের মাঝে ঘোষণা তালিবানের]

এদিন সিরিয়ায় ত্রাণবিলির মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ভোটাভুটি হয়। সেখানে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে মানবিকতার খাতিরে আগামী ১২ মাস সিরিয়ায় দুস্থদের ত্রাণ পাঠানো হবে। তুরস্ক সীমান্ত দিয়ে সিরিয়ায় দুর্ভিক্ষের মুখে থাকা লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে খাবার সামগ্রী পৌঁছে দেওয়া হবে। এই সিদ্ধান্তে সমর্থন জানায় ভারতও। তবে নয়াদিল্লি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে যে সিরিয়ায় বর্তমান পরিস্থিতির জন্য বিদেশি শক্তি অনেকাংশেই দায়ী। রাষ্ট্রসংঘের উদ্যোগে শান্তিপ্রক্রিয়া শুরু হলে তা কিন্তু সিরিয়ার জনগণের নেতৃত্বেই চলবে। এই বিষয়ে রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত ভারটের রাষ্ট্রদূত টি এস তিরুমূর্তি বলেন, “লড়াইয়ের মাধ্যমে বা সামরিক পদক্ষেপ করে সিরিয়ার সমস্যার সমাধান করা যাবে না। সিরিয়ার নেতৃত্বে শান্তিপ্রক্রিয়ার মাধ্যমেই লড়াই থামানো সম্ভব। আমরা মনে করি দেশটির সার্বভৌমত্ব ও ভৌগলিক অবস্থানকে সবার সম্মান করা উচিত। তবে সিরিয়ায় বিদেশি শক্তির হস্তক্ষেপ পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলছে।”

Advertisement

উল্লেখ্য, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সমর্থনে রয়েছে রাশিয়া ও ইরান। পালটা বিদ্রোহী বাহিনী ‘সিরিয়ান ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট’কে মদত দিচ্ছে আমেরিকা। ইসলামিক স্টেটের পতনের পর সিরিয়ায় শরণার্থীদের রক্ষা ও কুর্দ জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানের নামে সিরিয়ার একটি অংশ দখল করেছে তুরস্ক। একই সঙ্গে আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের উপর রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে। এহেন জটিল পরিস্থিতিতে ইঙ্গিতে প্রেসিডেন্ট আসাদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছে নয়াদিল্লি। রাসায়নিক হাতিয়ার ব্যবহারের অভিযোগের প্রেক্ষিতে ভারত আগেই সাফ জানিয়েছিল, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই এক্ষেত্রে নিরপেক্ষ তদন্ত হওয়া উচিত। রাসায়নিক হাতিয়ার নিয়ে রাজনীতি হওয়া উচিত নয়।

Advertisement

[আরও পড়ুন: হাইতির প্রেসিডেন্টের হত্যার ঘটনায় শোকপ্রকাশ প্রধানমন্ত্রী মোদির]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ