Advertisement
Advertisement

Breaking News

ট্রাম্পের পালটা পদক্ষেপ মোদির, বড় ধাক্কা আমেরিকার সংস্থাগুলিকে

কী পদক্ষেপ নিলেন মোদি?

India retaliates with higher import duties on US farm
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 21, 2018 8:56 pm
  • Updated:August 21, 2018 8:17 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পালটা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইউরোপিয় ইউনিয়নের পর এবার বেশ কয়েকটি মার্কিন পণ্যে আমদানি শুল্ক বাড়াল ভারত। গত মে মাসেই বিদেশি পণ্য আমদানিতে শুল্ক বেশ খানিকটা বাড়িয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। যে দেশগুলির পণ্যে মার্কিন সরকার শুল্ক বাড়িয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ভারত, চিন-সহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশ। ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের পরই বিশ্বজুড়ে শুরু হয়েছে ‘বিজনেস ওয়ার’। প্রথম মার্কিন পণ্যে শুল্ক বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় চিন। একই পথে হাঁটে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নও। ভারত শুল্ক বাড়ানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছিল আগেই। ২০টি মার্কিন পণ্যে শুল্ক বাড়ানোর আবেদন জানিয়ে ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন বা বিশ্ব বাণিজ্য সংগঠনকে চিঠিও লেখে ভারত সরকার। এরপরই বুধবার সরকারিভাবে জানিয়ে দেওয়া হল বেশ কিছু পণ্যের শুল্ক বাড়ানো হয়েছে।

[ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে শান্তির প্রার্থনায় সূর্য নমস্কারের আয়োজন ইসলামাবাদে]

কৃষিজাত পণ্য, স্টিল, সংকর স্টিল, পাইপ ফিটিংস, স্ক্রু, লৌহজাত পণ্য, আপেল, বাদাম, আমন্ড-সহ বেশ কিছু পণ্যে এক্সাইজ ডিউটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ব্যপক ক্ষতিগ্রস্ত হবে মার্কিন সংস্থাগুলি। আয় বাড়বে ভারত সরকারের। উল্লেখ্য, মে মাসেই আপেল, বাদাম এবং মোটর সাইকেল-সহ ২০টি মার্কিন পণ্যের উপর শুল্ক বাড়িয়েছিল ভারত। যা নিয়ে জি-৭ বৈঠকের পর সাংবাদিক সম্মেলনে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চিনও একই পথে হেঁটেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নতুন শুল্ক চালু করা হবে ৪ আগস্ট থেকে। তবে, কয়েকটি পণ্যে নতুন শুল্ক এখনই চালু হয়ে যাচ্ছে।

Advertisement

[আরও কাছাকাছি, চলতি বছরে তৃতীয়বার মুখোমুখি জিনপিং-কিম]

ক্ষমতায় আসার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সখ্যতা স্থাপন করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মোদিও একাধিকবার মার্কিন সফরে যান, দুই নেতার রসায়ন বেশ শিরোনাম কুড়িয়েছিল। কিন্তু মধুরেণ সমাপয়েত হয়ে গিয়েছে অনেক আগেই। একাধিক ইস্যুতে এখন মতানৈক্য চলছে দুই নেতার, এমনকী পাকিস্তানের সঙ্গেও আমেরিকার যে সাময়িক দূরত্ব তৈরি হয়েছিল তাও শেষের পথে। এই পরিস্থিতিতে নতুন বাণিজ্যিক লড়াই ট্রাম্প-মোদি সম্পর্ককে আরও তলানিতে নিয়ে যাবে বলে আশঙ্কা কূটনীতিবিদদের।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ