Advertisement
Advertisement
Indian Navy

দুদিন পর উদ্ধার অপহৃত বাংলাদেশি জাহাজ, জলদস্যুদের ধরাশায়ী করে বড় সাফল্য ভারতীয় নৌসেনার

জাহাজে থাকা ২৩ জন নাবিককে পণবন্দি বানিয়েছিল জলদস্যুরা।

Indian Navy thwarts pirates' attack on Bangladeshi vessel
Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:March 16, 2024 12:59 pm
  • Updated:March 16, 2024 1:00 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত মঙ্গলবার সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল বাংলাদেশের নিশানধারী জাহাজ এমভি আবদুল্লা। ভারত মহাসাগর থেকে বাণিজ্যতরীটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায় জলদুস্যরা। জাহাজে থাকা ২৩ জন নাবিককে পণবন্দি বানায় তারা। খবর পেয়েই দ্রুত জাহাজটি উদ্ধারের জন্য ছুটে যায় ভারতীয় রণতরী। অবশেষে অপহরণের দুদিন পর জলদস্যুদের পরাস্ত করে জাহাজটিকে উদ্ধার করলেন নৌসেনার জওয়ানরা।

শুক্রবার এক্স হ্যান্ডেলে নৌসেনার তরফে জানানো হয়েছে, ‘গত ১২ মার্চ এমভি জাহাজটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায় জলদস্যুরা। সেটিকে উদ্ধার করার জন্য ছুটে যায় ভারতীয় রণতরী। প্রথমে জাহাজের নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু কোনও জাহাজটি থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তার পরই সমুদ্রে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান শুরু করা হয়। অবশেষে ১৪ মার্চ সকালে জলদস্যুদের কবল থেকে এমভিকে উদ্ধার করা হয়। সোমালিয়া উপকূলের কাছে সেটিকে আটকে দেওয়া হয়। জলদস্যুদের হাত থেকে সফলভাবে মুক্ত করা পণবন্দিদের। জাহাজের সকল বাংলাদেশি নাবিকদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করা হয়েছে।’ জানা গিয়েছে, জাহাজটি অপহরণ করেছিল ১৫ থেকে ২০ জন জলদস্যু।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ফের ইউক্রনের বন্দরনগরীতে আছড়ে পড়ল একের পর এক রুশ মিসাইল! মৃত অন্তত ২০, আহত বহু]

বলে রাখা ভালো, মঙ্গলবার সোমালিয়ার দিকে নিজেদের গোপন ডেরায় জাহাজটিকে নিয়ে যায় জলদস্যুরা। পণ্যবাহী জাহাজটি বাংলাদেশের শিল্পগোষ্ঠী কবির গ্রুপের মালিকানাধীন। ওইদিন সন্ধ্যায় এমভি আবদুল্লার নাবিক আসিফুর রহমান ফেসবুক পোস্ট জাহাজ অপহরণের কথা জানান। তিনি লেখেন, ‘‘সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে আমরা আক্রান্ত। তবে সবাই সুস্থ ও নিরাপদে আছি। আমাদের জন্য প্রার্থনা করুন।’’তখনই জাহাজটিকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে আসে ভারতীয় নৌসেনা।

উল্লেখ্য, গত মাসেই সোমালিয়ার পূর্ব উপকূলে সোমালি জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল ইরানের নিশানধারী একটি মাছ ধরার জাহাজ। খবর পেয়েই সেটি উদ্ধারের জন্য পৌঁছে যায় নৌসেনার যুদ্ধজাহাজ আইএনএস সারদা। পাকিস্তানি ও ইরানীয় নাবিক মিলে মোট ১৯ জন ছিলেন জাহাজটিতে। কিন্তু জলদস্যুদের পরাস্ত করে সকলে নিরাপদে উদ্ধার করেছিলেন জওয়ানরা।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ