Advertisement
Advertisement

Breaking News

ISIS-K

আফগান মসজিদে হামলার দায় স্বীকার করল ISIS, জেহাদের লড়াইয়ে রক্তাক্ত ‘কাবুলিওয়ালার দেশ’

ওই বিস্ফোরণে নিহত হয় শতাধিক মনুষ।

ISIS claims responsibility for Afghanistan mosque blast | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:October 9, 2021 10:07 am
  • Updated:October 9, 2021 10:07 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবার ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে আফগানিস্তানের (Afghanistan) এক শিয়া মসজিদ। সেদেশের উত্তরপূর্ব কুন্দুজ প্রদেশের ওই মসজিদের বিস্ফোরণে শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এবার ওই হামলার দায় স্বীকার করল ইসলামিক স্টেট (খোরাসান)।

[আরও পড়ুন: রাজকোষ গড়ের মাঠ, সম্পত্তি বেচে বিদ্যুতের বকেয়া মেটাবে তালিবান]

আফগানিস্তান থেকে মার্কিন ফৌজ সরে যাওয়ার পর সবচেয়ে বড় হামলার ঘটনা এটি। কুন্দুজে শিয়া সম্প্রদায়ের মসজিদে শুক্রবারের প্রার্থনা চলাকালীন বিস্ফোরণ হয়। এর আগে বিভিন্ন সময় শিয়াদের নিশানা করেছে জঙ্গি সংগঠন আইএস। ফলে দেশটিতে আবারও গৃহযুদ্ধের সম্ভাবনা বাড়ছে। এর আগে গত ৩ অক্টোবর কাবুলের মসজিদে বিস্ফোরণ ঘটেছিল। হামলার পালটা দিয়ে কাবুলে আইএস-এর একটি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল জেহাদিরা। নিজের টুইটারে হ্যান্ডেলে তালিবান মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ জানিয়েছিলেন, “কাবুলে আমাদের সফল অভিযানের ফলে ইসলামিক স্টেটের ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে। সেখানে থাকা সমস্ত আইএস সদস্যকে খতম করা হয়েছে।”

Advertisement

প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানে তুঙ্গে পৌঁছেছে ইসলামিক স্টেট (ISIS) বনাম তালিবান লড়াই। কয়েকদিন আগে ইসলামিক স্টেটের খোরাসান শাখার প্রাক্তন প্রধান আবু ওমর খোরাসানিকে হত্যা করে তালিবান। গত আগস্ট মাসে কাবুল বিমানবন্দরে ভয়াবহ আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় ইসলামিক স্টেট। এই বিস্ফোরণের পিছনেও খোরাসানের দায় রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

বলে রাখা ভাল, তালিবান ও আইএস দুটোই সুন্নি জেহাদি সংগঠন। তবে ইসলামের ব্যাখ্যা ও মতবাদ নিয়ে দুই দলের মধ্যে বিবাদ তুঙ্গে। আইএসের দাবি, তালিবান আমেরিকার ‘মোল্লা ব্র্যাডলি’ প্রকল্পের অঙ্গ। ওই মৌলবাদীদের মতে, ওই প্রকল্পে জেহাদি সংগঠনের একাংশকে নিজেদের দিকে টেনে সেগুলিকে দুর্বল করে দেয় আমেরিকা। বিশেষত, ২০১৫ সালে আফগানিস্তানের (Afghanistan) নানগরহার প্রদেশে আইএসের খোরাসান শাখা তৈরি হওয়ার পরেই বিরোধ বাড়ে। দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় দু’পক্ষের নানা গোষ্ঠীর। কূটনীতিকদের মতে, আইএসের মোকাবিলা করতেই তালিবানকে সমর্থন শুরু করে রাশিয়া। পরে নানগরহর প্রদেশে আমেরিকান অভিযানের ফলে আইএস বড় ধাক্কা খায়। কিন্তু ফের শক্তি সংগ্রহ করছে তারা।

[আরও পড়ুন: সংঘাত ঠেকাতে চিনা প্রেসিডেন্ট জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন মার্কিন রাষ্ট্রপ্রধান বাইডেন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ