Advertisement
Advertisement
ইজরায়েল

আরব দুনিয়ায় পরিবর্তনের ইঙ্গিত, মার্কিন পৌরহিত্যে ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি ইজরায়েল-আমিরশাহীর

সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে ইজরায়েলকে স্বীকৃতি সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর।

Israel-UAE now agree to establish formal diplomatic ties
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:August 14, 2020 2:48 pm
  • Updated:August 14, 2020 3:03 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মার্কিন পৌরহিত্যে ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তি স্বাক্ষর করল ইজরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। বৃহস্পতিবার আরব দুনিয়ায় বড়সড় বদলের ইঙ্গিত দিয়ে টুইট করে চুক্তির কথা জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

[আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরু হিংসার নেপথ্যে ‘মৌলবাদী’ শক্তি, PFI-কে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি কর্ণাটকে]

নয়া চুক্তি মোতাবেক, ইজরায়েলকে (Israel) একটি সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেবে সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। প্রতিদানে প্যালেস্তাইনের ওয়েস্ট ব্যাঙ্ক এলাকা অধিগ্রহণ করার পরিকল্পনা বাতিল করবে ইহুদি দেশটি। উল্লেখ্য, কয়েক দশকের সংঘাতে ইতি টেনে মিশর ও জর্ডনের পর আরব দুনিয়ার তৃতীয় দেশ হিসেবে ইজরায়েলকে স্বীকৃতি দিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহী। এর ফলে এবার থেকে তেল আভিভের সঙ্গে আন্তর্জাতিক আইন মেনে কূটনৈতিক, বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপন করতে পারবে আবু ধাবি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, ইজরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এবং আবু ধাবির ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ আল নাহিয়ান এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “এই ঐতিহাসিক অগ্রগতি মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির অগ্রযাত্রায় সাহায্য করবে।”

Advertisement

বিশ্লেষকদের মতে, আমেরিকার মিত্রদেশগুলির মধ্যে অন্যতম ইজরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহী (UAE)। মধ্যপ্রাচ্যে ইরানকে রুখতে এই দুই দেশ আমেরিকার অন্যতম হাতিয়ার। তাই বিবাদ মেটাতে পর্দার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরেই শান্তি আলোচনার পক্ষে ওয়াশিংটন-তেল আভিভ-আবু ধাবির। তারই ফল এই শান্তিচুক্তি। কূটনৈতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, ইজরায়েলের সঙ্গে এতদিন পর্যন্ত কোনও উপসাগরীয় আরব রাষ্ট্রের কূটনৈতিক ছিল না। উপসাগরীয় অঞ্চলে চালকের আসনে রয়েছে সৌদি আরব। ফলে এই চুক্তিতে যে রিযাধের সম্মতি রয়েছে তা বলাই বাহুল্য। সব মিলিয়ে এবার ইহুদি বনাম আরব দ্বন্দ্ব অনেকটাই মিটবে। আর একযোগে ইরানকে ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ।

Advertisement

উল্লেখ্য, এটি ইজরায়েলের সঙ্গে তৃতীয় কোনও আরব রাষ্ট্রের শান্তি চুক্তি। এর আগে মিশর ১৯৭৯ সালে এবং জর্ডন ১৯৯৪ সালে ইসরায়েলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করে। আগামী দিনে ইজরায়েল এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহী প্রতিনিধিরা বিনিয়োগ, পর্যটন, সরাসরি ফ্লাইট, নিরাপত্তা, টেলিযোগাযোগ, জ্বালানি, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি সহ নানা বিষয়ে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি করার জন্য বৈঠকে বসবেন।

[আরও পড়ুন: বেঙ্গালুরু হিংসার নেপথ্যে ‘মৌলবাদী’ শক্তি, PFI-কে নিষিদ্ধ ঘোষণার দাবি কর্ণাটকে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ