Advertisement
Advertisement
Iran

শুরু পালটা মার! ইরানে মিসাইল হামলা ইজরায়েলের, নিশানায় পরমাণু কেন্দ্র?

দিন কয়েক আগেই ইজরায়েলে ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালায় ইরান।

Israeli missiles hit site in Iran, says reports

প্রতীকী ছবি।

Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:April 19, 2024 8:20 am
  • Updated:April 19, 2024 10:00 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মধ্যপ্রাচ্যে ঘনীভূত যুদ্ধের মেঘ। এবার ইরানে মিসাইল হামলা চালাল ইজরায়েল। এমনটাই খবর রয়টার্স সূত্রে। মনে করা হচ্ছে, দিন কয়েক আগে তেহরানের আক্রমণের জবাব দিতেই ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইজরায়েলি ডিফেন্স ফোর্সেস (আইডিএফ)।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ইরানে আছড়ে পড়ে বেশ কয়েকটি ইজরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র। ইরানের সংবাদ সংস্থা ‘ফার্স নিউজে’র প্রতিবেদন মোতাবেক, ইসফাহান শহরে তীব্র বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গিয়েছে। যদিও তার কারণ খোলসা করা হয়নি। বিশ্লেষকদের মতে, ইজরায়েলের হিটলিস্টে রয়েছে ইসাফাহান। কারণ, সেখানেই ইরানের বেশ কয়েকটি পরমাণু কেন্দ্র রয়েছে। তেল আভিভের দাবি, শক্তি উৎপাদনের আড়ালে ওই কেন্দ্রগুলিতে আণবিক বোমা বানাচ্ছে তেহরান। 

Advertisement

তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, অতীতেও ইরানের পারমাণু শক্তি কেন্দ্রগুলিকে নিশানা করেছে ইজরায়েল। এবারও তেহরানের হামলার প্রতিশোধ নিতে সেগুলোই রাডারে তেল আভিভের বলে আশঙ্কা। গত সোমবার আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার প্রধান রাফায়েল গ্রসির গলায় শোনা গিয়েছিল এমনই আশঙ্কার সুর। তিনি জানিয়েছিলেন,  নিরাপত্তার স্বার্থে সাময়িকভাবে ইরানের পরমাণু কেন্দ্রগুলি বন্ধ রাখা হয়েছে। এবার কি সেই আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে?  

Advertisement

[আরও পড়ুন: রুশ মিসাইল হামলায় ইউক্রেনে মৃত অন্তত ১৭! নিজেদের দুর্বলতা মানলেন জেলেনস্কি]

উল্লেখ্য, গত ১ এপ্রিল দামাস্কাসে ইরানের দূতাবাসে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় আইডিএফ। মৃত্যু হয় ১৩ জনের। নিহতদের মধ্যে ছিলেন দুজন ইরানি সেনাকর্তাও। পালটা ১৩ এপ্রিল ইজরায়েলকে নিশানা করে ড্রোন ও ক্ষেপণান্ত্র ছুড়ে ইরানের ইসলামিক রেভলিউশনারি গার্ড কোর। একদফা আক্রমণ চালিয়েই অভিযানে ইতি টানে তারা। তেহরানের তরফে বলা হয়, তাদের উদ্দেশ্য পূরণ হয়েছে তাই আপাতত অভিযানে শেষ। তবে, ইসলামিক দেশটির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি হুঁশিয়ারি দেন, ইজরায়েল পালটা হামলা চালালে জবাব অত্যন্ত মারাত্মক হবে। ‘জায়নবাদে’র বিরুদ্ধে এই লড়াই থেকে আমেরিকাকেও দূরে থাকার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল দেশটি। পালটা, বদলা নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল তেল আভিভ।

বিশ্লেষকদের মতে, ইজরায়েলের পালটা মারে গোটা মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের আগুন ছড়িয়ে পড়তে পারে। এটাই চেয়েছিল হামাস। মধ্যেপ্রাচ্যের মুসলিম দেশগুলি যাতে একসঙ্গে ইজরায়েলের উপর হামলা চালায় সেই চেষ্টাই করছিল প্যালেস্তিনীয় জঙ্গিগোষ্ঠীটি। এবার ইরান ও ইজরায়েলের যুদ্ধ শুরু হলে হামাসের সেই প্রয়াস সফল হবে।         

[আরও পড়ুন: কেন ইজরায়েলকে আক্রমণ ইরানের? শুধুই কি আত্মরক্ষা নাকি নেপথ্যে অন্য কারণ?]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ