সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুক্রবার সকালেই নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। এদিন সকাল ৯.২৯ মিনিটে নিজেদের ১০০তম উপগ্রহটি মহাকাশে পাঠিয়েছে তাঁরা। গোটা ব্যাপারটি যেখানে দেশবাসীর কাছে অত্যন্ত গর্বের, প্রতিবেশি দেশের এই সাফল্য যেন মেনে নিতে পারছে না পাকিস্তান! তাঁদের নিজস্ব মহাকাশ গবেষণা ভারতের তুলনায় যতটাই পিছিয়ে থাকুক না কেন, প্রতিবেশী দেশকে হুমকি দিতেও পিছপা হয় না পাক সরকার। ইসলামাবাদের নয়া অভিযোগ, এই উপগ্রহ ভারত সেনার কাজে লাগাতে পারে এবং তাতে আঞ্চলিক শান্তি নষ্ট হতে পারে। আর একারণেই ভীত তাঁরা।
ইসরোর জন্মের আট বছর আগে অর্থাৎ ১৯৬১ সালে পাকিস্তানে স্পেস ও আপার অ্যাটমোস্ফিয়ার রিসার্চ কমিশন গঠন করা হয়েছিল। কিন্তু ইসরোর তুলনায় সেটি কোনওভাবেই প্রতিষ্ঠা পায়নি। ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থার তুলনা টানা হয় মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা-র সঙ্গে। আর সেখানে সাফল্য না পাওয়ার কারণেই ইসরোর উৎক্ষেপণ নিয়ে এতটা বিচলিত পাকিস্তান, এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। এদিনের উৎক্ষেপণের আগেই তাই পাক বিদেশমন্ত্রকের তরফ থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছিল। যেখানে দিল্লিকে উদ্দেশ্য করে বলা হয়েছে, ‘মহাকাশ নিয়ে গবেষণার প্রযুক্তিগুলি এবং উপগ্রহগুলিকে সাধারণ মানুষ ও সেনা উভয়ের কাজেই ব্যবহার করা হয়। তাই সেনার ক্ষমতা বাড়াতে যদিও এই উপগ্রহগুলিকে ব্যবহার করা হয়, তাহলে সেটা আঞ্চলিক শান্তি বিনষ্ট করতে পারে।’
এদিন পিএসএলভি (পোলার স্যাটেলাইট লঞ্চ ভেহিকল) সি—৪০/কার্টোস্যাট২ সিরিজের মাধ্যমেই কৃত্রিম উপগ্রহগুলি মহাকাশে পাড়ি দেয়। এবার একসঙ্গে ৩১টি কৃত্রিম উপগ্রহকে মহাকাশে পাঠিয়েছে ইসরো। পিএসএলভি এখন আরও বেশি উন্নত। এই নিয়ে মোট ৪২ বার মহাকাশে পাড়ি দিল এই রকেটটি। চতুর্থ পর্যায়ের এই ইঞ্জিনটিতে রয়েছে ‘মাল্টিপল বার্ন টেকনোলজি’। অর্থাৎ ৩১টি কৃত্রিম উপগ্রহকে (স্যাটেলাইট) মহাকাশে পাঠানোর সময়ে ইঞ্জিনটি আট মিনিট ধরে কাজ করবে, আবার পরবর্তী আট মিনিট তা বন্ধ হয়ে যাবে। কৃত্রিম উপগ্রহগুলিকে কক্ষপথে স্থাপন করে ফের তা চালু হবে। অভিযানের অধিকর্তা আর হিউটন বলেন, ২০১৭ সালের আগস্টের অভিযানে পিএসএলভি-র যে কর্মক্ষমতা ছিল, শুক্রবারের অভিযানেও সেই একই কর্মক্ষমতা রয়েছে রকেটটির।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.