Advertisement
Advertisement
Jaahnavi Kandula

আমেরিকায় নিহত জাহ্নবীকে মরণোত্তর ডিগ্রি, পরিবারের পাশে থাকার বার্তা মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়ের

অন্ধ্রের মেয়েকে বিশেষ সম্মান।

Jaahnavi Kandula to be awarded degree posthumously। Sangbad Pratidin
Published by: Suchinta Pal Chowdhury
  • Posted:September 16, 2023 9:45 am
  • Updated:September 16, 2023 9:45 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আমেরিকার পুলিশের গাড়ির ধাক্কায় নিহত ভারতীয় ছাত্রী জাহ্নবী কান্ডুলাকে মরণোত্তর ডিগ্রি দেবে মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়। জাহ্নবীর স্নাতকোত্তরের শংসাপত্র তাঁর পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। চলতি বছরের ডিসেম্বরেই ডিগ্রি পাওয়ার কথা ছিল জাহ্নবীর। ভারতীয় বংশোবদ্ভূত মার্কিন কংগ্রেসম্যান রাজা কৃষ্ণমূর্তি ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিন্সিপাল বলেন, ‘‘এটা মানতেই হবে যে, জাহ্নবীর মৃত্যু ভারতীয় পড়ুয়াদের উপর প্রভাব ফেলেছে। আমরা তাঁর পরিবার ও সমস্ত ভারতীয় পড়ুয়ার পাশে আছি।” তদন্তে ন্যায়বিচার মিলবে বলে আশাপ্রকাশ করেছেন তিনি। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়টি ভারতীয় পড়ুয়াদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য একটি হেল্প লাইন নম্বর চালু করেছে। বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, ‘জাহ্নবীর মৃত্যুতে পড়ুয়াদের উপর যে মারাত্মক মানসিক চাপ তৈরি হয়েছে, সেটা কাটাতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করে মেন্টাল হেলথ ক্লিনিকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন তাঁরা। ২৪ ঘণ্টাই মিলবে এই পরিষেবা।’  

Advertisement

[আরও পড়ুন: খলিস্তানি কাঁটায় বিদ্ধ ভারত-কানাডা বাণিজ্য চুক্তি! হঠাৎ সফর বাতিল কানাডার মন্ত্রীর]

এদিকে, ভারতীয় ছাত্রী জাহ্নবী কান্ডুলাকে (Jaahnavi Kandula) গাড়ির ধাক্কায় পিষে দেওয়ার কথা স্বীকার করেছেন মার্কিন পুলিশ অফিসার কেভিন ডেভ। পুলিশের যে এসইউভি জাহ্নবীকে ধাক্কা মারে, তা চালাচ্ছিলেন কেভিন। ৩৫ বছর বয়সি কেভিন গত তিন বছর ধরে সিয়াটল পুলিশে চাকরি করছেন। অথচ তাঁর বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক পদক্ষেপ করেনি মার্কিন প্রশাসন। তাই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় পুলিশের গাড়িটির গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৭৪ মাইল বা প্রায় ১২০ কিলোমিটার। সিয়াটলের যে রাস্তায় দুর্ঘটনা হয়, সেখানে গাড়ির স্পিড ঘণ্টায় ২৫ মাইলের বেশি তোলা পুরোপুরি বেআইনি। আইন জানা সত্ত্বেও কেন ঝড়ের বেগে এসইউভি ছোটাচ্ছিলেন কেভিন, সেই প্রশ্ন উঠছে।

Advertisement

উল্লেখ্য, অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) বাসিন্দা জাহ্নবী কান্দুলা, সিয়াটেলের নর্থ-ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ছিলেন তিনি। পুলিশকর্মীর আচরণে জাহ্নবীর কাকা অশোক কান্দুলা বলেন, “আমাদের কিছু বলার নেই। ওই লোকটির (অভিযুক্ত পুলিশকর্মী) মেয়ে বা নাতির কোনও মূল্য আছে কি! জীবনের মূল্য সকলের ক্ষেত্রেই কিন্তু সমান।”

[আরও পড়ুন: ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে ‘বন্ধু’ পাকিস্তানকে বড় ধাক্কা আরব আমিরশাহীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ