Advertisement
Advertisement

ভারতীয় সেনার পরাক্রমে নাস্তানাবুদ জইশ, নয়া কৌশল জঙ্গিদের

এবার কী কৌশল সন্ত্রাসবাদীদের?

 JeM moves hideouts to populated areas
Published by: Tanujit Das
  • Posted:February 18, 2019 7:36 pm
  • Updated:February 19, 2019 8:22 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ভাই’দের বলিদান বিফলে যাবে না৷ পুলওয়ামা জঙ্গি হানায় শহিদ ৪৯ জন জওয়ানের সামনে দাঁড়িয়ে শপথ নিয়েছিলেন তাঁরা৷ কথাও রেখেছেন৷ সত্যি বিফলে যায়নি শহিদদের রক্ত৷ উপত্যকাতে পাল্লা দিয়ে চলছে জঙ্গি খোঁজার কাজ৷ সোমবার সকালেই খতম হয় উপত্যকায় আত্মগোপন করে থাকা কয়েকজন শীর্ষ জইশ জঙ্গি৷ ভারতীয় সেনার এই চরম প্রত্যাঘাতে কার্যত কোণঠাসা জইশ৷ পাক সেনার সাহায্যে এতদিন সীমান্ত লাগোয়া ঘাঁটিগুলিতে নিশ্চিন্তে দিনযাপন করছিল তারা৷ সূত্রের খবর, ভারতীয় সেনার হেভি শেলিংয়ের মুখে পড়ে,  এখন ওই সমস্ত ঘাঁটি থেকে পাত্তাড়ি গুটিয়ে পালাতে শুরু করেছে জঙ্গিরা৷ সেনার মার থেকে বাঁচতে সীমান্ত লাগোয়া জনবহুল এলাকায় ঢুকে পড়েছে সন্ত্রাসবাদীরা৷

[পাকিস্তানপ্রেমী সিধু! বিধানসভায় কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে সরব বিরোধীরা ]

Advertisement

পাক সেনা ও উপত্যকায় লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের উপর সাঁড়াশি আক্রমণ শুরু করেছে ভারতীয় সেনা৷ একদিকে সীমান্তে এপার থেকে পাক সেনাকে যোগ্য জবাব দেওয়া হচ্ছে৷ অন্যদিকে, পাল্লা দিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের নানা অংশে চলছে নাকা তল্লাশি৷ গোয়েন্দাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে যেখানে যেখানে জঙ্গিরা আত্মগোপন করে রয়েছে, সেই সমস্ত এলাকায় ঢুকে সন্ত্রাসবাদীদের মেরে আসছে সেনা৷ সেই লড়াইয়ের ফলেই সোমবার সকালে বড়সড় সাফল্য পায় সেনা৷ পুলওয়ামার পিংলান গ্রামে আত্মগোপন করে থাকার সময় সেনার আক্রমণের মুখে পড়ে জইশ কমান্ডার কামরান। গুলিতে ঝাঁজরা করে দেওয়া হয় তিন জঙ্গিকে৷ কামরানই ছিল পুলওয়ামা হামলার মাস্টারমাইন্ড৷

Advertisement

[বিয়েতে পাওয়া টাকা শহিদদের পরিবারের জন্য দান করলেন গুজরাটের নবদম্পতি]

একই ভাবে সীমান্তেও সমান পরাক্রম দেখাচ্ছে ভারতীয় সেনা৷ প্রতিশোধের আগুনে টগবগ করে ফুটছেন জওয়ানরা৷সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে তাঁদের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছে সরকার৷ যার সদ্ব্যাবহার করছেন তাঁরাও৷ সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, উপত্যকা ও সীমান্তে সেনার প্রতিটি পদক্ষেপের খবরাখবর এসে পৌঁছাচ্ছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে৷ সেই সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সীমান্তের এপার থেকে ভারতীয় সেনার ছোঁড়া গোলা-গুলির মুখে পড়ে কার্যত নাস্তানাবুদ অবস্থা পাক সেনার৷ এবং সীমান্ত লাগোয়া ঘাঁটিগুলিতে আত্মগোপন করে থাকা জইশ জঙ্গিদের৷ সোমবার থেকে ওই সমস্ত ঘাঁটি ছেড়ে তারা পালাতে শুরু করেছে সীমান্ত লাগোয়া জনবহুল এলাকার দিকে৷ কারণ, তারা ভাল করেই জানে জনবহুল এলাকায় ঢুকে পড়তে পারলেই প্রাণে মরার সম্ভাবনা অনেকটা কমে যাবে৷ কারণ ভারতীয় সেনা কখনই সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করবে না৷ ওয়াকিবহাল মহলের মতে, খুব কৌশল করেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে জইশ জঙ্গিরা৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ