Advertisement
Advertisement

Breaking News

নিহত ব্রিটিশ এমপি, মূল সন্দেহভাজন গ্রেফতার

চলতি বছরের গোড়ায় এমপিদের নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা বলেছিল সরকার৷ তা সত্ত্বেও কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে৷

Jo Cox dead: Latest updates after Labour MP killed in street and suspect Thomas Mair arrested
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 17, 2016 12:58 pm
  • Updated:June 17, 2016 1:00 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারের ব্রিস্টলে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্রেই গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল লেবার পার্টির এমপি জো কক্সের৷ তাঁর মাথায় তিনবার গুলি করা হয়৷ একাধিকবার ছুরিও মারা হয়েছে তাঁকে৷ রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যাওয়ার পর তাঁকে লাথি মারে আততায়ী৷ সঙ্গে চিৎকার করে বলে, ‘ব্রিটেন ফার্স্ট’৷ আশঙ্কাজনক অবস্থায় মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েও শেষ রক্ষা করতে পারলেন না দুই সন্তানের জননী কক্স৷ ঘটনায় ব্রিটেন জুড়ে তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে৷ কক্সের হত্যার তীব্র নিন্দা করেছেন বিভিন্ন দলের এমপিরা৷ ঘটনায় এক সন্দেহভাজনকে অস্ত্র-সহ গ্রেফতার করা হয়েছে বলে ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারের পুলিশ জানিয়েছে৷ এই ঘটনার পিছনে কোনও জঙ্গিগোষ্ঠীর হাত থাকতে পারে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ৷

২৩ জুন ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকা নিয়ে গণভোট হবে৷ এই ঘটনার সঙ্গে তার যোগসূত্র রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে৷ কারণ, কক্সের স্বামী, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী গর্ডন ব্রাউনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ব্রেন্ডন গতকালই লন্ডনে ইউরোপীয় ইউনিয়নে থাকার পক্ষে প্রচার করেছিলেন৷ আর এমপি কক্স নিজে এদিন লিডসের কাছে ব্রিস্টলে ‘ব্রিটেন স্ট্রংগার ইন ইউরোপ’-এর হয়ে প্রচারে বেরিয়েছিলেন৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নিজের দফতরের বাইরে কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলছিলেন কক্স৷ চেঁচামেচি শুনে তিনি এগিয়ে যান৷ বড়সড় চেহারার এক ব্যক্তির সঙ্গে সাদা বেসবল টুপি পরা একজনের ঝামেলা হচ্ছিল৷ কক্স তাঁদের দিকে এগিয়ে গেলে আচমকাই ব্যাগ থেকে পিস্তল বের করে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বেসবল টুপি পরা ওই ব্যক্তি৷ দু’টি গাড়ির মধ্যে পড়ে যান কক্স৷ তাঁকে আরও দু’বার গুলি করা হয়৷ শেষবার মাথার কাছে৷ এরপর তাঁকে কয়েকবার ছুরি দিয়েও আঘাত করা হয়৷ ঘটনার ভয়াবহতায় বিহ্বল হয়ে পড়েন প্রত্যক্ষদর্শীরা৷ ধীরেসুস্হে রাস্তা পেরিয়ে চলে যায় আততায়ী৷ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে কক্সকে লিডস হাসপাতালে পাঠায় পুলিশ৷ পরে ওই এলাকা থেকেই তারা ৫২ বছর বয়সি থমাস মেয়র নাম এক ব্যক্তিকে আটক করে৷

Advertisement

কেমব্রিজের স্নাতক কক্স সতীর্থ এমপিদের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন৷ লেবার পার্টির মহিলা শাখার জাতীয় প্রধানও ছিলেন তিনি৷ টুইট করে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন৷ বন্ধু, সতীর্থ কক্সের মৃত্যুতে শোকাহত লন্ডনের নবনির্বাচিত মেয়র সাদিক খান, প্রাক্তন মেয়র বরিস জনসনরাও৷ চলতি বছরের গোড়ায় এমপিদের নিরাপত্তা বাড়ানোর কথা বলেছিল সরকার৷ তা সত্ত্বেও কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ