Advertisement
Advertisement

Breaking News

'Kolkata Days' offers a helping hand to Bengalis in Canada

কানাডায় সমস্যায় পড়েছেন? মুশকিল আসানে প্রবাসী বাঙালির পাশে ‘কলকাতা ডেজ’

২০১৭ সালে পথচলা শুরু হয় 'কলকাতা ডেজ'-এর।

'Kolkata Days' offers a helping hand to Bengalis in Canada । Sangbad Pratidin
Published by: Sayani Sen
  • Posted:June 23, 2022 11:59 am
  • Updated:June 23, 2022 11:59 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাদল কুমার ঘোষ ছিলেন সেনাবাহিনীতে। ছেলে চাকরি করেন কানাডাতে। অবসরের পর সেখানে গিয়ে বাদলবাবু নাজেহাল। সব কিছুই তো অন্যরকম। তবে ছেলে থাকায় তিনি না হয় সামলে নিতে পেরেছেন। কিন্তু যাঁরা নতুন আসবেন তাঁরাও একই সমস্যায় পড়বেন। তাই তাঁদের কথা ভেবেই বাবার বুদ্ধিতে ব্যাংক অফিসার অরূপ ঘোষ খুললেন ‘কলকাতা ডেজ’ (Kolkata Days)। ‘আলপিন টু এলিফ্যান্ট, কানাডায় বাঙালির মুশকিল আসান মানেই ‘কলকাতা ডেজ’। নতুনদের থাকার জন্য বাড়ি খোঁজা, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, ছেলেমেয়ের স্কুল, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ডাক্তারবাবু…সব কাজে সমস্যা পড়া প্রবাসী বাঙালির পাশে ‘কলকাতা ডেজ’।

Kolkata-Days

Advertisement

হাজার দশেক বাঙালি থাকেন কানাডায় (Canada)। বেশিরভাগেরই ঠিকানা ওন্তারিও। কেউ যান পড়তে। কেউ চাকরি করতে। অনেকেই তারপর নাগরিকত্ব নিয়ে থেকে যান। আমেরিকার ভিসা নীতির কড়াকড়িতেও অনেকে এখন কানাডার নাগরিকত্ব নিয়ে আমেরিকায় চাকরি করছেন। বিদেশে এসে দেশের স্বাদ। চেনা আড্ডা, আত্মীয়-পরিজন-বন্ধুবান্ধব নিয়ে জমজমাট কাণ্ড। ‘কলকাতা ডেজ’ মানে টেনশনলেস জনগণ। ‘কলকাতা ডেজ’ চালু ৩৬৫ দিন, ২৪ ঘণ্টা। কাউকে একা ভাবার সুযোগই দেন না ওই দলের সদস্যরা। বলতে বলতে চোখ চকচক করে ওঠে ‘কলকাতা ডেজ’-এর সদস্য অরূপ ঘোষ। ২০১৭ সালে পথচলা শুরু ‘কলকাতা ডেজ’-এর। শুরুর সময় ভাবাই যায়নি এত তাড়াতাড়ি জনপ্রিয় হয়ে উঠবে ‘কলকাতা ডেজ’।

Advertisement

[আরও পড়ুন: সরযূ নদীতে স্নানের মাঝে বউকে চুমু, যুবককে বেধড়ক পেটাল জনতা, ভাইরাল ভিডিও]

তবে শুধু প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ-মহিলারাই নন। ছোটরাও ‘কলকাতা ডেজ’-এর গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কেউ যাতে একাকীত্বে না ভোগে সে কারণে ‘কলকাতা ডেজ’-এর উদ্যোগে বারো মাসে তেরো পার্বণ লেগেই থাকে। তাতে সবচেয়ে বেশি লাভ হয় টিনএজারদের। ছোটদের মধ্যে একটা আলাদা টানা তৈরি হয়। আইটি কোম্পানিতে চাকরিরত ইন্দ্রজিৎ দত্তও প্রবাসী বাঙালি। তিনিও ‘কলকাতা ডেজ’-এর সদস্য। তাঁর কথায়, “বেশ কিছুদিন থাকার পর কেউ বাড়ি-গাড়ি কিনতে চান। কেউ বাবা, মাকে বিদেশে নিয়ে আসতে চান। তাঁদের ভিসা বা মেডিক্যাল ইনস্যুরেন্সের কাজকর্ম করতে হয়। সেই সময় ‘কলকাতা ডেজ’ তাঁদের পাশে দাঁড়ায়।

Kolkata-Days

ইন্দ্রজিৎ দত্তের মতো লালি ঘোষ, সুপ্রিয় চট্টোপাধ্যায়ও ‘কলকাতা ডেজ’-এর একজন সেনাপতি। সুপ্রিয় চট্টোপাধ্যায়ের কথায়, “লালিদি আমাদের ‘কলকাতা ডেজ’-এর প্রধান এক সেনাপতি। মাসছয়েক আগে আমার সঙ্গে এঁদের যোগাযোগ হয়েছে। মজার কথা কী জানেন, এঁরা নিজেরা নিজেদের ডাকেন জনগণ। এখন আমাদের ৮১৮ জন জনগণ আছেন।” কানাডায় থাকা বাঙালিরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘ক্যলকাটা ডেজ’-এর সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। একবার কানাডায় পা দিলেই সম্পূর্ণ নিখরচে বোঝা যাবে ‘ক্যলকাটা ডেজ’-এর ম্যাজিক।

Kolkata-Days

[আরও পড়ুন: Coronavirus: দেশের দৈনিক করোনা আক্রান্ত ফের ১৩ হাজারের বেশি, চিন্তা মৃতের সংখ্যাতেও]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ