সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দক্ষিণ চিন সাগরে ফের আগ্রাসী চিন (China)। এবার মালয়েশিয়ার আকাশসীমায় অনুপ্রবেশ করল লালফৌজের ১৬টি বিমান। এই ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে চিনা রাষ্ট্রদূতকে সমন পাঠিয়েছে কুয়ালালামপুর।
[আরও পড়ুন: ইজরায়েলে সরকার গড়ল বিরোধী জোট, বিদায় আসন্ন নেতানিয়াহুর]
📃 – @MalaysiaMFA 🇲🇾 will issue a diplomatic note of protest against the intrusion to the Government of the 🇨🇳 PRC; will also summon the Ambassador of the PRC to Malaysia to provide explanation regarding this breach of Malaysian airspace and sovereignty. pic.twitter.com/dgzbIZQow7
— Hishammuddin Hussein 🇲🇾 (@HishammuddinH2O) June 1, 2021
বিবিসি সূত্রে খবর, সোমবার মালয়েশিয়ার সারাওয়াক প্রদেশের উপকূলে অনুপ্রবেশ করে চিনা ফৌজের ১৬টি বিমান। বিষয়টি রাডারে ধরা পড়তেই যুদ্ধবিমান পাঠায় মালয়েশিয়ার সেনাবাহিনী। মালয়েশিয়ার বায়ুসেনা জানিয়েছে, যুদ্ধের সময় কৌশলে আকাশে প্রায় ২৭ হাজার ফুট উঁচুতে উড়ছিল চিনা বিমানগুলি। বোর্নিও দ্বীপের সারাওয়াক প্রদেশ থেকে তাদের দূরত্ব ছিল মাত্র ১১০ কিলোমিটার। যা অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। মালয়েশিয়ার বিদেশমন্ত্রী হিশামমুদ্দিন হোসেন বলেন, “আমাদের সীমানায় প্রবেশ করে চিনা বিমানগুলি। কোনও দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক থাকা মানে এই নয় যে আমরা দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে আপোস করব। এই ঘটনায় আমরা চিনের রাষ্ট্রদূতের কাছে জবাব তলব করেছি।” লালফৌজের বিমানের অনুপ্রবেশ নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে দেশটির বিদেশমন্ত্রক এক বিবৃতিতে সাফ জানিয়েছে, ‘এহেন ঘটনায় দেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি বড়সড় বিপদ।’ যদিও, চিনের পালটা দাবি যে তাদের বিমানগুলি আন্তর্জাতিক আইন মেনেই ওই অঞ্চলে পাড়ি দিয়েছে।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ চিন সাগরের প্রায় ৯০ শতাংশ নিজেদের বলে দাবি করে চিন। ফলে ইতিমধ্যেই আমেরিকা, জাপান, ভিয়েতনাম, ফিলিপিন্স, মালয়েশিয়া-সহ একাধিক দেশের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছে বেজিং। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, এই সাগর দিয়েই প্রতিবছর ৩ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের আন্তর্জাতিক বাণিজ্য হয়। ফলে অর্থনৈতিক দিক থেকে এই রুটটি অত্যন্ত লাভজনক।