Advertisement
Advertisement
Covid-19 WHO Soumya Swaminathan

‘ভয়ংকর প্রবণতা’, দু’বারে দু’রকম টিকা নেওয়া নিয়ে সতর্ক করল WHO

কোভ্যাক্সিন এবং কোভিশিল্ড দুই টিকা নেওয়ার প্রবণতা থেকে সাবধান।

Mixing Covid-19 vaccines ‘dangerous trend’, says WHO chief scientist Soumya Swaminathan | Sangbad Pratidin
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:July 13, 2021 9:40 am
  • Updated:July 13, 2021 11:25 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রথম ডোজ কোভিশিল্ড (Covishield), দ্বিতীয় ডোজ কোভ্যাক্সিন (Covaxin)। কিংবা প্রথম ডোজ কোভ্যাক্সিন, দ্বিতীয় ডোজ কোভিশিল্ড। টিকার সংকটের মধ্যে অনেকেই মিশ্র টিকা নেওয়ার কথা ভাবছেন। আবার কোথাও কোথাও ভুল করে এই ধরনের টিকা দেওয়াও হয়েছে। এই মিশ্র টিকা নেওয়ার প্রবণতাকে এবার বিপজ্জনক আখ্যা দিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী ডা. সৌম্যা স্বামীনাথন। তিনি বলছেন, মিশ্র টিকার কার্যকারিতা সম্পর্কে নিশ্চিত ভাবে কিছু জানা নেই। এই সংক্রান্ত কোনও তথ্যপ্রমাণ মেলেনি। তাই মিশ্র টিকা নেওয়াটা ভয়ংকর বিপদ ডেকে আনতে পারে।

মিশ্র টিকা প্রসঙ্গে ডা. স্বামীনাথনের মত, “বহু মানুষ মিশ্র টিকা নেওয়ার কথা ভাবছেন। অনেকে প্রশ্ন করছেন, প্রথম টিকা এক সংস্থার কাছ থেকে নেওয়ার পর দ্বিতীয় ডোজ অন্য সংস্থার থেকে নিতে পারবেন কি না। মিশ্র টিকা নিয়ে কোনও তথ্যপ্রমাণ হাতে নেই আমাদের। তাই এই প্রবণতা বিপদ ডেকে আনতে পারে।” WHO’র প্রধান গবেষকের মতে যেহেতু এই ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা নিয়ে কোনও গবেষণালব্ধ সাক্ষ্যপ্রমাণ নেই, তাই এ নিয়ে না এগোনোই ভাল।

Advertisement

[আরও পড়ুন: একই সঙ্গে করোনার আলফা ও বিটা স্ট্রেনে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বৃদ্ধার, বিস্মিত বিশেষজ্ঞরা]

করোনার (Coronavirus) প্রকোপ রুখতে মিশ্র টিকা দেওয়া যায় কিনা, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই গবেষণা শুরু করেছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের গবেষকরা। অনেক গবেষকেরই দাবি, দুটি আলাদা সংস্থার টিকা নিলে একই টিকার দুই ডোজের তুলনায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি হয়। জার্মানিতে আবার ইতিমধ্যেই মিশ্র টিকা নেওয়া শুরুও হয়ে গিয়েছে। সেদেশের চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মর্কেল (Angela Merkel) নিজে দুটি ভিন্ন সংস্থার টিকা নিয়েছেন সাধারণ মানুষকে উৎসাহিত করার জন্য। এদেশেও মিশ্র টিকাদানের ব্যাপারটি চিন্তাভাবনার স্তরে আছে। আগামী দিনে মিশ্র টিকা ব্যবহারের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না এইমসের ডিরেক্টর ডা. রণদীপ গুলেরিয়া। এই পরিস্থিতিতে WHO’র প্রধান বিজ্ঞানীর এই মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ