সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিঃসন্দেহে দুজনেই দুই রাষ্ট্রনায়ক!
কিন্তু, শুধুই এটুকু নয়। এর বাইরেও রয়েছেও নরেন্দ্র মোদি আর বারাক ওবামার মধ্যে গায়ে কাঁটা জাগানো মিল।
কী রকম, দেখে নেওয়া যাক এক এক করে!
সাদামাটা পরিবার:
• ওবামা বড় হয়েছেন মধ্যবিত্ত পরিবারে। তাঁর ঠাকুর্দার কাছে, হাওয়াইতে।
• মোদির বাবার ছিল চায়ের দোকান। প্রধানমন্ত্রী নিজেও এক সময়ে কাজ করেছেন চায়ের দোকানে।
কেরিয়ার-গ্রাফ:
• ন্যাশনাল স্টেজে আসার আগে ওবামা কেরিয়ারের অনেকটাই কাটিয়েছেন স্টেট সেনেটর হিসেবে।
• অন্য দিকে, দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার আগে মোদি তিন বার নির্বাচিত হয়েছিলেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী পদে।
জাঁকালো প্রতিদ্বন্দ্বীকে অপসারণ:
• হিলারি ক্লিনটনের জনপ্রিয়তা ছিল বারাক ওবামার চেয়ে অনেক বেশি। কিন্তু, তাঁকে পিছনে ফেলে ক্ষমতায় আসেন ওবামাই!
• তেমনই, মোদির সামনে প্রধানমন্ত্রী পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ছিলেন অনেক বেশি জনপ্রিয় লালকৃষ্ণ আদবানি এবং সুষমা স্বরাজ। পরিণতি এখন সবারই জানা!
জনমোহিনী ক্ষমতা:
• ইউএস সেনেটের প্রার্থী হিসেবে ২০০৪ সালে একটি জাঁকালো বক্তৃতার মাধ্যমে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে ওঠেন ওবামা।
• পাশাপাশি, মোদির বক্তৃতাকে তুলনা করা হয় অটলবিহারী বাজপেয়ী এবং জওহরলাল নেহেরুর মতো সুবক্তার সঙ্গে।
গেম চেঞ্জার:
• ওবামার সোশ্যাল মিডিয়া-সংক্রান্ত ক্যাম্পেন রিপাবলিকানদের ধুয়ে-মুছে দেয়। পাশাপাশি ডেমোক্র্যাটদের জন্য জমি তৈরি করে দেয় ২০০৮ সালে।
• মোদিও তেমনই টেকনোলজিকে গুরুত্ব দিয়ে বিজেপি-র আসন অনেকটাই পাকা করেন!
আপন মর্জির রাজা:
• সমালোচকরা বলে থাকেন, ওবামা না কি ক্যাবিনেট সদস্যদের মতামতকে খুব একটা গুরুত্ব দেন না। বেশির ভাগ সিদ্ধান্ত তাঁদের সঙ্গে আলোচনা না করেই ঠিক করেন।
• অভিযোগ, মোদিও না কি প্রায় একনায়কতন্ত্র চালান!
ব্যর্থতাতেও এক:
• মেরিল্যান্ডে ২০১৪ সালে ওবামা পরাজয়ের মুখ দেখেন। তাঁর সমর্থকরা একে একে সরে আসা শুরু করেন!
• মোদি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর প্রথমে দিল্লি এবং পরে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে ব্যর্থতার মুখ দেখেছে বিজেপি। দায় অনেকটাই বর্তায় মোদির উপর।
প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থতা:
• ওবামা ‘হোপ অ্যান্ড চেঞ্জ’ শিরোনামে যে পরিবর্তন আনবেন বলেছিলেন, তা তিনি পূর্ণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
• মোদি-ই বা ‘অচ্ছে দিন’ আনতে পারলেন কই?