সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্কুলের ছাত্রীদের বিষ খাওয়ানোর অভিযোগ উঠেছিল ইরানে (Iran)। এই ঘটনায় অন্তত ১০০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের জাতীয় মিডিয়া। সেদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও এই গ্রেপ্তারি নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন। প্রসঙ্গত, মেয়েদের স্কুলে বিষক্রিয়ার ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই দোষীদের কড়া শাস্তি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন ইরানের সর্বোচ্চ শাসক আলি খামেনেই (Ali Khamenei)।
শনিবার গভীর রাতে ইরানের জাতীয় মিডিয়ার তরফে জানানো হয়, ছাত্রীদের স্কুলে বিষক্রিয়া ঘটানোর অভিযোগে ১০০-এর ও বেশি ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। রাজধানী তেহরান-সহ নানা শহর থেকে আটক করা হয়েছে অভিযুক্তদের। ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়, মূলত ছাত্রীদের মনে ভয় ধরানোর জন্যই অপেক্ষাকৃত কম ক্ষতিকারক উপায় বেছে নিয়েছিল অভিযুক্তরা।”
[আরও পড়ুন: ১০ বছরে টাটার তিন সংস্থার লগ্নি বাংলায়, সিঙ্গুর ইস্যুতে বিজেপিকে পালটা তোপ শিল্পমন্ত্রীর]
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তরফে আরও বলা হয়, “প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, দুষ্টুমি আর অ্যাডভেঞ্চার করতে গিয়েই এমন পন্থা নিয়েছিল অভিযুক্তরা। তাদের উদ্দেশ্য ছিল, ছাত্রীদের উপর মানসিক চাপ তৈরি করা। তাই অপেক্ষাকৃত কম ক্ষতিকারক পদার্থ ব্যবহার করেছিল, যাতে প্রাণহানির মতো ব্যাপক ক্ষতি না হয়।” স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের দাবি, বিষক্রিয়া হলেও ছাত্রীরা আপাতত সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে।
কয়েকদিন আগেই ইরানের একাধিক শহরে বিভিন্ন স্কুলে অসুস্থ হয়ে পড়ে শ’খানেক ছাত্রী। তাদের বিষ খাওয়ানো হয়েছিল বলে অভিযোগ। খোদ ইরানের উপস্বাস্থ্যমন্ত্রী একথা জানিয়েছিলেন। তাঁর আরও বক্তব্য, নারীশিক্ষার বিরোধীরাই এমন কাজ করেছেন। এই ঘটনায় শত্রু রাষ্ট্রগুলিকে নিশানা করেছিলেন খামেইনি। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, হিজাব বিরোধী আন্দোলন দমিয়ে রাখতে প্রশাসনই এহেন হামলা চালিয়েছে।
[আরও পড়ুন: SCC Scam: বিয়ের পরদিনই চাকরি গেল বরের! নবদম্পতিকে নিয়ে চিন্তায় নেটদুনিয়া]
সব খবরের আপডেট পান সংবাদ প্রতিদিন-এ
Highlights
- শনিবার গভীর রাতে ইরানের জাতীয় মিডিয়ার তরফে জানানো হয়, ছাত্রীদের স্কুলে বিষক্রিয়া ঘটানোর অভিযোগে ১০০-এর ও বেশি ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।
- স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর তরফে আরও বলা হয়, "প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, দুষ্টুমি আর অ্যাডভেঞ্চার করতে গিয়েই এমন পন্থা নিয়েছিল অভিযুক্তরা।
- এই ঘটনায় শত্রু রাষ্ট্রগুলিকে নিশানা করেছিলেন খামেইনি। যদিও বিশেষজ্ঞদের মতে, হিজাব বিরোধী আন্দোলন দমিয়ে রাখতে প্রশাসনই এহেন হামলা চালিয়েছে।