সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রচলিত ধারণা, গুরুস্তনী মহিলাদের প্রতি নাকি আকৃষ্ট হয় পুরুষরা। কিন্তু, স্তনের আকার নিয়ে এখন বেজায় সমস্যায় পড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এক যুবতী। তাঁর স্তন আকারে এতটাই বড় যে, অন্তর্বাসই পরতে পারেন না তিনি বা বলা ভাল, ওই মহিলার উপযুক্ত অন্তর্বাস পাওয়াই যায় না। তাই অস্ত্রোপচার করে স্তনের আকার ছোট করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন ভিক্টোরিয়া প্রদেশের ট্রাফালগার শহরের বাসিন্দা শেরিডান লার্কম্যান। কিন্তু, সেই অস্ত্রোপচার আবার অস্ট্রেলিয়ায় হয় না। বিদেশে গিয়ে অস্ত্রোপচারের খরচ জোগাড় করতে অর্থ সংগ্রহে নেমেছেন ওই অস্ট্রেলিয় যুবতী।
[মোবাইলের চার্জারে তড়িদাহত হয়ে মৃত্যু কিশোরীর, ঘটনায় চাঞ্চল্য]
নারী শরীর নিয়ে কৌতুহলের শেষ নেই। বিশেষ করে মহিলাদের স্তনযুগল ও বক্ষবিভাজিকার আর্কষণে ঘায়েল হননি, এমন পুরুষ বোধহয় খুঁজলেও পাওয়া যাবে না। কিন্তু, নারী শরীরের যে অঙ্গের আকর্ষণে ঘায়েল হয় সমগ্র পুরুষজাতি, সেই স্তনই এখন বিড়ম্বনার কারণ হয়ে উঠেছে শেরিডান লার্কম্যান নামে অস্ট্রেলিয়ার এক যুবতীর। বিড়ম্বনা এতটাই, যে অস্ত্রোপচার করে স্তনের আকার ছোট করার জন্য রীতিমতো অর্থ সংগ্রহ অভিযানে নামতে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু, কেন? শেরিডান থাকেন অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া প্রদেশের ট্রাফালগার শহরে। তিনি বিবাহিত। দুই সন্তানের মা। আট বছর বয়স থেকেই লার্কম্যানের স্তন আকারে বাড়ছে। এখন তাঁর বয়স ২৩। কিন্তু, স্তনের বৃদ্ধি থামেনি। বরং উত্তরোত্তর তা আকারে আরও বড় হচ্ছে। লার্কম্যানে বয়স যখন ১৬ বছর, তখন তিনি একবার চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। শেরিডান লার্কম্যান বলেন, ‘ চিকিৎসকরা বলেছিলেন, স্তনের আকার আর খুব একটা বাড়বে না। ভেবেছিলাম, আর একটু বড় সাইজের অন্তর্বাস পরলেই কাজ চলে যাবে। এটা ভেবে নিশ্চিন্ত হয়েছিলাম, খুব তাড়াতাড়ি আমার স্তনের বৃদ্ধি বন্ধ হয়ে যাবে।’ বাস্তবে তেমনটা হয়নি। বছর তেইশের যুবতীর ওই স্তন এখনও আকারে বাড়ছে। অত্যাধিক বড় স্তনে কারণে পিঠে ও ঘাড়ে ব্যাথা এবং শিরদাঁড়ার সমস্যায় যেমন ভুগছেন, তেমনি রাস্তায় শেরিডানকে দেখে অভব্য মন্তব্যও করছেন পুরুষরা। মোবাইলে আসছেন নানা ধরনের অশ্লীল বার্তা। বাইরে বেরোনো তো বন্ধ হয়েইছে, বাড়িতে দৈনন্দিন কাজও করে পারছেন না লার্কম্যান। সবমিলিয়ে জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে ওই যুবতীর।
[ফ্ল্যাটে মোমবাতির আলোয় ছাত্রের সঙ্গে যৌনতায় মাততে চেয়েছিলেন এই শিক্ষিকা!]
শেরিডান এখন চাইছেন, অস্ত্রোপচার করে স্তনের আকার ছোট করে ফেলতে। খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পেরেছেন, স্তনের আকার ছোট করার অস্ত্রোপচার অস্ট্রেলিয়ায় হয় না। এই অস্ত্রোপচার করাতে গেলে বিদেশে যেতে হবে। খরচও বিস্তর। তাই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে অর্থ সংগ্রহ অভিযানে নেমেছেন তিনি। প্রয়োজন ১০ হাজার মার্কিন ডলার। অস্ট্রেলিয়ার গোফান্ডমি নামে একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এখনও পর্যন্ত ২ হাজার ডলার সংগ্রহ করতে পেরেছেন শেরিডান।
[১০ মাসের শিশুর ওজন ২৭ কেজি, তাজ্জব চিকিৎসকরা]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.