সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চরমে পৌঁছল উত্তর কোরিয়া-আমেরিকা দ্বৈরথ। এবার বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী দেশকে পারমাণবিক যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিল কিম জং উনের দেশ। সরাসরি না বললেও সরকার নিয়ন্ত্রিত একটি সংবাদপত্রে দাবি করা হয়, কোরীয় উপদ্বীপে মার্কিন যুদ্ধবিমানের আনাগোনা দিন দিন বৃদ্ধি পেয়েছে। মহড়ার নামে উত্তর কোরিয়ার সীমান্তের খুব কাছে বোমাবর্ষণ করেছে মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলি। যা কিনা ভবিষ্যতে পরমাণু যুদ্ধ বাঁধানোর জন্য যথেষ্ট। এর থেকেই বোঝা যাচ্ছে, নিজেদের অঞ্চলের কাছে মার্কিন যুদ্ধবিমানের আনাগোনা একদমই ভাল চোখে দেখছে না উত্তর কোরিয়া।
[লুইস ঝড়ে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে উড়ে গেলেন কোহলিরা]
সংবাদমাধ্যমটির দাবি, ‘কোরীয় উপদ্বীপ বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে উত্তেজনাপ্রবণ এলাকা। এই অঞ্চলে যেকোনও সময় পরমাণু যুদ্ধ লাগতে পারে। বিশ্বের এই অঞ্চলেই পরমাণু যুদ্ধ শুরু হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ওয়াশিংটনও নতুন করে বিশ্ব যুদ্ধ চাইছে এবং তাতে ইন্ধন জোগাচ্ছে।’ এর পাশাপাশি সংবাদপত্রটিতে আরও দাবি করা হয়, ক্যাপিটল হিলে ক্ষমতা চলে যাওয়ার আশঙ্কাতেই এমন কাজ করছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেদিক থেকে সবার নজর ঘোরাতেই এমন কাজ করছেন তিনি।
[সর্বনাশ! ফাঁস হল ১২ কোটি Jio গ্রাহকের আধার নম্বর!]
এর আগে গত ৪ জুলাই আমেরিকা-সহ বিশ্বের প্রায় সব দেশের হুঁশিয়ারিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক মিসাইল পরীক্ষা করেছিল উত্তর কোরিয়া। কুসং শহরের উত্তর পশ্চিমে বাঙ্গিয়ন এয়ার ফিল্ড থেকে ক্ষেপণাস্ত্রটির পরীক্ষা করা হয়। ৫৭৮ মাইল উড়ে তা পড়ে উত্তর কোরিয়া ও জাপানের মধ্যবর্তী সাগরে। দক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনী এই তথ্যই দেয়। অন্যদিকে জাপান সরকারের প্রকাশ করা রিপোর্ট অনুযায়ী, মিসাইলটি ওড়ার জন্য ৪০ মিনিট সময় নেয়। ভূমি থেকে সাগর পাল্লার ক্রুজ মিসাইল পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এই প্রথম সেই মাত্রার মিসাইল ছুড়ল কিমের দেশ। তবে এখানে উল্লেখ্য রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নির্দেশিকা অনুযায়ী ব্যালেস্টিক মিসাইল পরীক্ষা নিষিদ্ধ করা হয়েছে উত্তর কোরিয়ায়। কিম প্রশাসনের এই পরীক্ষার পরেই চিন্তার ভাঁজ পড়ে ওয়াশিংটন এবং সিওলের কপালে। তড়িঘড়ি বিশেষ বৈঠক ডাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা উপদেষ্টা কমিটি। কোরিয় উপদ্বীপে পাঠানো হয় দু’টি বি-১৮ মার্কিন বোমারু বিমানকে। এরপরই দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলি কোরিয় উপদ্বীপে মহড়া চালায়। আর তাতেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে উত্তর কোরিয়া।