সংবাদ প্রতিদিনি ডিজিটাল ডেস্ক: ইমরান খান (Imran Khan) বনাম নওয়াজ শরিফ (Nawaz Sharif)। পাকিস্তানের বর্তমান বনাম প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর লড়াই। কিন্তু না, এই রাজনৈতিক বিরোধিতাকে স্রেফ নেতা-নেতার লড়াই বলতে নারাজ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। বরং ফের সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরে বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধ করে তাঁর মন্তব্য, ”ইমরানের বিরুদ্ধে নয়, তাঁকে যাঁরা প্রধানমন্ত্রীর পদে বসিয়েছে, আমাদের লড়াই তাঁদের বিরুদ্ধে।” ইমরানের আমলে দেশের আর্থিক পরিস্থিতির বেহাল দশা এবং প্রশাসনিক কাজে সেনার নাক গলানো প্রসঙ্গেও বিঁধলেন শরিফ।
বিরোধী দলগুলিকে ঐক্যবদ্ধ করে ভারচুয়াল আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে নওয়াজ শরিফ পাক সেনার যথেষ্ট সমালোচনা করেছেন। অভিযোগ তুলেছেন, ২০১৮ সালের ভোটে সেনা জোর করে জনসমর্থন কিনেছে। গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাবান নয় ইমরান খান সরকার। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাক নাগরিকরা গণতান্ত্রিক অধিকার হারাচ্ছেন। এই জায়গায় দাঁড়িয়েই লড়াইয়ের হুঙ্কার দিয়েছেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। বলছেন, ইমরানের নেতৃত্বে পাকিস্তানের পিটিআই (Pakistan Tehreek-e-Insaf) সরকার ‘অযোগ্য’। এই ‘অযোগ্য’ সরকার নির্বাচনকারীদের বিরুদ্ধে তিনি লড়তে চান। এ প্রসঙ্গে নাম না করে পাকিস্তানের প্রাক্তন সেনাশাসক জেনারেল পারভেজ মুশারফের বিরুদ্ধেও সুর চড়িয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: পাকিস্তানে ফের সংখ্যালঘু নির্যাতন, অপহৃত ২২ বছরের শিখ যুবতী]
যদিও নওয়াজ শরিফের এই বক্তব্য সম্প্রচার নিষিদ্ধ করা হয়েছে পাকিস্তানের বেশিরভাগ সংবাদমাধ্যমেই। প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন দুর্নীতি মামলায় ২০১৭ সালে দোষী সাব্যস্ত হন শরিফ। পাক সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ৭ বছরের কারাবাসের শাস্তি হয়। মাস কয়েক আগে জেলে থাকাকালীন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় জামিন নিয়ে ব্রিটেনে যান চিকিৎসার জন্য। জামিনের মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও না ফেরায় পাক প্রশাসন তাঁকে ‘পলাতক’ ঘোষণা করে। পিটিআই প্রশাসনের বিরুদ্ধে শরিফ বরাবর অভিযোগ করে এসেছেন যে সেনার অঙ্গুলিহেলনে তাঁর মতো বিরোধীদের কোণঠাসা করার চেষ্টা করেছেন ইমরান খান। সেই অভিযোগেই ফের সরব হলেন পাকিস্তানের ‘পলাতক’ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী।