সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের সঙ্গে সীমান্ত নিয়ে ঝামেলা শুরু হওয়ার পর থেকেই সময়টা ভাল যাচ্ছে না নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির। করোনা মহামারীর মোকাবিলা করতে গিয়েও নাস্তানাবুদ হয়েছে তাঁর প্রশাসন। নিজেকে দেশের সর্বশক্তিমান বানাতে গিয়ে নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ড-সহ নিজের দলের বেশিরভাগ শীর্ষ নেতাকেই এমন চটিয়ে রেখেছেন যে প্রতিমুহূর্তে টালমাটাল করছে গদি। এই নিয়ে টানাপোড়েনে বীতশ্রদ্ধা নেপালের জনগণের একাংশ এবার গণতন্ত্রের পথ ছেড়ে তাই ফের রাজতন্ত্রের শাসনে ফিরতে চাইছে। গত কয়েকদিনে নেপালের বিভিন্ন জায়গায় এই দাবিতে পথে নেমে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন অনেক মানুষ। শনিবারও এর জেরে উত্তাল হয়ে উঠল রাজধানী কাঠমাণ্ডু। গণতান্ত্রিক সরকারকে সরিয়ে সাংবিধানিক রাজতন্ত্র ও হিন্দু (Hindu) রাষ্ট্রের তকমা ফেরানো দাবিতে নেপালের জাতীয় পতাকা হাতে বিক্ষোভ দেখালেন কয়েক হাজার নাগরিক।
Nepal: Demonstration held in capital Kathmandu, demanding restoration of monarchy in the country. pic.twitter.com/TFjmKu9U9Z
— ANI (@ANI) December 5, 2020
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবারের ওই বিক্ষোভের বিষয়ে আগে থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচার চালানো হয়েছিল। সেই অনুযায়ী কাঠমাণ্ডুর রাজপথে জাতীয় পতাকা হাতে জড়ো হয়েছিলেন কয়েক হাজার মানুষ। নেপালের জাতীয় পতাকা হাতে নিয়ে কেপি শর্মা ওলির সরকারকে অপসারণের পাশাপাশি সাংবিধানিক রাজতন্ত্র (constitutional monarchy) ফেরানোর দাবিতে সরব হন তাঁরা। স্লোগান তোলেন হিন্দু রাষ্ট্রের তকমা ফেরানোর দাবিতেও। দেশের জাতীয় ঐক্য ও নাগরিকদের ভালর জন্যই তাঁরা এই দাবি জানাচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন।
[আরও পড়ুন: আগামী দশকে দারিদ্র্যসীমার নিচে চলে যাবেন ১০০ কোটির বেশি, আশঙ্কা রাষ্ট্রসংঘের]
এপ্রসঙ্গে ওই বিক্ষোভে যোগ দেওয়া আমির কেসি নামে এক যুবক নেপালের ললিতপুর থেকে আরও ২৫০ জন যুবককে তাঁর সঙ্গে কাঠমাণ্ডুতে নিয়ে এসেছে বলে দাবি করেন। এপ্রসঙ্গে বলেন, ‘আজকে যারা এই বিক্ষোভে যোগ দিয়েছেন তাঁরা নিজেদের জন্য কিছু চাইতে আসেননি। যুব সম্প্রদায়ের নেতৃত্বে চলা এই আন্দোলনের উদ্দেশ্য হল সুন্দর নেপাল গড়ে তোলা। হিন্দু রাষ্ট্রের তকমা ফিরিয়ে এনে রাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা করা। যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা নিজেদের লক্ষ্যে পৌঁছব ততক্ষণ পর্যন্ত এই লড়াই থামবে না।’