Advertisement
Advertisement

শ্রীলঙ্কার বন্দরে চিনা সেনাকে রুখে দেব, মোদিকে আশ্বাস সিরিসেনার

পাকিস্তানের মতো চিনের কাছে বিকোবে না শ্রীলঙ্কা!

No chinese military activity at Sri lanka, assures Govt
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 5, 2017 2:56 pm
  • Updated:February 5, 2017 2:56 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নয়াদিল্লিকে স্বস্তি দিয়ে চিনে নিযুক্ত শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রদূত স্পষ্ট জানালেন, হামবানতোতা বন্দরে চিনা সেনাদের উপস্থিতি বরদাস্ত করা হবে না। বেজিং ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পাশে থাকার স্পষ্ট বার্তা দিলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনা।

(দক্ষিণ চিন সাগরে চরমে লালফৌজের যুদ্ধ প্রস্তুতি)

কার্যত তাঁর নির্দেশেই বেজিংয়ে নিযুক্ত শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রদূত কোড়িতুওয়াক্কু আজ বলেছেন, “চিনা বিনিয়োগকারীদের স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বাণিজ্যিক কারণ ছাড়া অন্য কোনও সামরিক কাজের জন্য শ্রীলঙ্কার বন্দর ব্যবহার করা যাবে না।” শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে বেজিংয়ে এই কথা জানিয়েছেন তিনি। হামবানতোতা বন্দরে প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করছে চিন। সেই বন্দরের মালিকানা কার্যত চিনের হাতে চলে যাওয়ায় স্থানীয় বাসিন্দা ও মৎসজীবীরা বিক্ষোভও দেখিয়েছেন। কূটনৈতিক স্তরে প্রতিবাদ জানিয়েছে ভারতও। কার্যত ভারতের চাপে পড়েই শ্রীলঙ্কা সরকার আজ বলতে বাধ্য হল, চিনা সেনাদের ওই বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হবে না। পাকিস্তান গদর বন্দরকে চিনের হাতে তুলে দিলেও শ্রীলঙ্কা যে সেই পথে হাঁটবে না সে কথা আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন শ্রীলঙ্কার রাষ্ট্রদূত।

Advertisement

(আমেরিকা-চিনের যুদ্ধ হলে জড়াবে আরও ৬ দেশ!)

গত ডিসেম্বরে শ্রীলঙ্কা ও চিন সরকারের মধ্যে হ্যামবানতোতা বন্দর নিয়ে একটি মহা গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি হয়। বন্দরের আধুনিকীকরণের জন্য ৮০ শতাংশ মালিকানা ১.১২ বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে একটি চিনা সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়। ভারতের পক্ষে এই চুক্তি অশনি সঙ্কেত বয়ে আনে। কারণ, ভারত মহাসাগরে কলম্বোর অবস্থান কৌশলগত ভাবে গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায়, চিন-শ্রীলঙ্কার মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক সব সময়ই নয়াদিল্লির ভ্রুকুঞ্চন বাড়িয়েছে। রাজাপক্ষের আমলে এই দ্বীপরাষ্ট্রটিতে চিনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব দীর্ঘ দিন ধরেই চাপে রেখেছিল ভারতকে। সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি ভুলে পরিবারতন্ত্রের পথে হাঁটছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষে। ফলে, দিল্লির সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে তাঁর। ক্রমশ চিনের দিকে ঝুঁকে পড়েন রাজাপক্ষে। তবে শ্রীলঙ্কায় রাজনৈতিক পালাবদল ঘটে যাওয়ার পর আর দেরি না করে সে দেশের সঙ্গে সম্পর্কে নতুন মাত্রা আনতে তৎপর হয় নরেন্দ্র মোদি সরকার। ভারতীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠক করতে নয়াদিল্লিতে এসেছিলেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপালা সিরিসেনা। ধীরে ধীরে ভাঙা সম্পর্ক ফের জোড়া লাগে দুই দেশের মধ্যে। যার ফলস্বরূপ চিনকে কঠোর বার্তা দিয়ে শ্রীলঙ্কা বুঝিয়ে দিল, কলম্বো এখনও নয়াদিল্লির পাশেই রয়েছে।

(দক্ষিণ চিন সাগর নিয়ে বেজিংকে চরম হুঁশিয়ারি হোয়াইট হাউসের)

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement