Advertisement
Advertisement

Breaking News

করোনার কামড়ে দিশেহারা ‘ড্রাগন’, মান খুইয়ে মার্কিন মদত চাইল বেজিং

করোনা ভাইরাসের গ্রাসে লাফিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা।

Now China seeks US help for tackling deadly coronavirus
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:February 6, 2020 9:38 am
  • Updated:February 6, 2020 9:38 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চরম বিপদে পড়লে মানুষ খড়কুটোও আঁকড়ে ধরে। তবে খড়কুটো নয়, করোনা ভাইরাসের হাত থেকে বাঁচতে এবার মান খুইয়ে মহীরুহ আমেরিকাকেই কার্যত জড়িয়ে ধরল চিন।

করোনা ভাইরাসের গ্রাসে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে বলা হলে খুব একটা ভুল বলা হবে না। কারণ, গত কয়েকটা দিন মিলিয়ে মৃতের সংখ্যাটা প্রায় পাঁচশো ছুঁইছুঁই। আক্রান্তের সংখ্যা ২০,৪৩৮। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিনে এই ভাবে কোনওদিনও রোগে ভুগে স্থানীয়রা মারা যাননি। সংক্রমণ যাতে নতুন করে দেশের অন্য প্রান্তে ছড়িয়ে না পড়ে তার জন্য ছোট ছোট দলে বিভিন্ন মেডিক্যাল টিম গঠন করে নজরদারি চালানো হচ্ছে। তবু বাগ মানছে না ভাইরাস। চিনের মূল ভূখণ্ড, হংকং, ম্যাকাও, তাইওয়ান মিলিয়ে ৩১টি প্রদেশে করোনাভাইরাসের জীবাণু মিলেছে। পরিস্থিতি এমন সদ্যোজাত শিশুও সুরক্ষিত নয়। জন্মের ৩০ ঘণ্টার মধ্যেই করোনায় ভুগছে শিশুটি। অবস্থা হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে দেখে চিন এখন মার্কিন সাহায্য নিতেও পিছপা নয়।

Advertisement

বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনিং আজ বলেছেন, ‘‘আমেরিকা একটি নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ, শান্তিপূর্ণ যুক্তিযুক্ত অবস্থান নিক। অতিরিক্ত বাড়াবাড়ি বন্ধ করুক। আমেরিকা বারবারই সহায়তা করার আগ্রহ দেখিয়েছে। চিন সেটা জানে। আমাদের আশা, দ্রুত আমরা সাহায্য পাব।’’ হোয়াইট হাউসও জানিয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মার্কিন বিশেষজ্ঞদের এই ভাইরাস সংক্রান্ত গবেষণা ও লড়াইয়ের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে চিন। হুবেইয়ের প্রাদেশিক রাজধানী শহর ইউহান-সহ বেশ কিছু শহর তালাবন্ধ হয়ে যাওয়া এবং চিনে সফর নিয়ন্ত্রিত হওয়ায় আন্তর্জাতিক ভাবে ক্রমশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে চিন।

Advertisement

অন্যদিকে, সিঙ্গাপুর থেকে স্থানীয়ভাবে সংক্রমণের খবর চিন্তা বাড়িয়েছে স্বাস্থ্য-বিশেষজ্ঞদের। এই শহরের চারজন এমন মহিলা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন যাঁরা কেউ কখনও চিনের ইউহানে যাননি বলে দাবি। এঁদের মধ্যে দু’জন কাজ করেন সিঙ্গাপুরের কালাং সাবজোনে। সেখানে ল্যাভেন্ডার নামে একটি জায়গার ক্যাভান রোডে চিনা স্বাস্থ্য-সামগ্রী বিক্রি হয়। সেই দোকানের কর্মী তাঁরা। চিনা পর্যটক গোষ্ঠীদের সাহায্য করেন ওই দোকান। তৃতীয় মহিলা এক জনের পরিচারিকার কাজ করেন। চতুর্থ জন টুর-গাইড। তিনি চিনা পর্যটকের একটি দলকে ওই দোকানেই নিয়ে গিয়েছিলেন। তার পরেই এই খবর মিলেছে।

[আরও পড়ুন: শেষ হল ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া, সেনেটে বেকসুর খালাস প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ