Advertisement
Advertisement

সমুদ্রের নোনা জলকে পানযোগ্য করে নজির ভারতীয় কিশোরের

সমুদ্রের জল থেকে বিশুদ্ধ পানীয় জল পাওয়ার পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক মার্কিন কিশোর।

Now drinking water from ocean, teen develops amazing tech
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:February 6, 2017 8:04 am
  • Updated:February 6, 2017 8:39 am  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘আমার শহরে শুকিয়ে যাচ্ছে জল’- উষ্ণায়ন আর পরিবেশ বদলের জেরে বিজ্ঞানীদের ভাবনা এখন এটাই৷ ধীরে ধীরে পৃথিবী থেকে কমছে পানীয় জলের পরিমাণ৷পৃথিবীর তিনভাগ জুড়ে সমুদ্র হলেও নোনা জল তো আর পান করা যায় না৷ অতএব, একমাত্র উপায় ওই নোনা জলকেই শুদ্ধ পানীয় জলে রপান্তরিত করা। আর এই পদ্ধতিতেই আশার আলো দেখাচ্ছে চৈতন্য করমচেদু নামে ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক মার্কিন কিশোর৷ সমুদ্রের জল থেকে বিশুদ্ধ পানীয় জল নিষ্কাশনের সহজ উপায় আবিষ্কার করে ফেলেছে এই খুদে গবেষক৷ আর তার এই পদ্ধতিতে খরচও অনেকটা কমেছে৷ উচ্চমাত্রার শোষণক্ষমতা সম্পন্ন পলিমার ব্যবহার করে সমুদ্রের জলকে বিশুদ্ধ পানীয় জলে পরিণত করার উপায় বাতলেছে সে৷

লালকেল্লার অন্দরে বাক্সভর্তি গ্রেনেড, চাঞ্চল্য রাজধানীতে

দ্য জেস্যুইট হাই স্কুলের ছাত্র চৈতন্য জানায়, সারা বিশ্বে আবহাওয়ার নানা পরিবর্তন নিয়ে সে চিন্তিত৷ স্কুলের গবেষণাগারেই কাজ শুরু করেছিল৷ এরপরেই বিভিন্ন প্রযুক্তিবিদ্যার সংস্থা ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলি সে কাজ দেখে নড়েচড়ে বসে৷ চৈতন্য সহ আরও আটজন মিলে এই কাজটি করেছে৷ উষ্ণায়ন পরবর্তী সময়ে পানীয় জল নিয়ে ভাবনাটাই এই মুহূর্তের সবচেয়ে জরুরি বিষয় বলেও মনে করে সে৷

Advertisement

করমচেদু সাংবাদিকদের আরও বলে, পৃথিবীর ৭০ ভাগই জল আর সেই জলের বেশিরভাগটাই সামুদ্রিক জল৷ কিন্তু নোনা জলকে পানীয় জলে পরিণত করা অত্যন্ত কঠিন৷ বিজ্ঞানীরাও বহু বছর ধরে এই নিয়ে কাজ করছেন৷ জল থেকে নুনের পরিমাণ কমানো কিংবা সম্পূর্ণ দূর করা, এই নিয়ে চলছে গবেষণা৷ তবে সামুদ্রিক জল কিন্তু লবণের দ্রবণে সম্পূর্ণ সম্পৃক্ত কোনও দ্রবণ নয়৷ তাই একটি উচ্চমাত্রার শোষণক্ষমতা সম্পন্ন্ পলিমারের ব্যবহার করে খুব কম খরচে সমুদ্রের জলকে বিশুদ্ধ পানীয় জলে পরিণত করার উপায় বের করে ফেলেছে সে৷ এই পলিমারটি জলের পরিবর্তে নুনের সঙ্গে যুক্ত হয়৷ জেস্যুইট হাই স্কুলের জীববিদ্যার শিক্ষক লারা শামিহে বলেন, চৈতন্য সম্পূর্ণ অন্যভাবে বিষয়টি নিয়ে ভেবেছে৷

তুষার ধসে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে মৃত শতাধিক

সাধারণত, দশ শতাংশ জল নুনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত থাকে৷ বাকি ৯০ শতাংশ কিন্তু নুনের সঙ্গে যুক্ত থাকে না৷ চৈতন্য এই ৯০ শতাংশের ওপরই গবেষণা করেছে৷ যেখানে বিজ্ঞানীদের বেশিরভাগই দশ শতাংশ নিয়ে চিন্তিত থাকেন৷ বিজ্ঞানীরা চৈতন্যের গবেষণা নিয়ে ইতিমধ্যে ভাবতে শুরু করে দিয়েছেন৷ ইন্টেলের আন্তর্জাতিক বিজ্ঞান মেলায় ইণ্টারন্যাশনাল গ্লোবাল ডেভেলপমেন্টের দশ হাজার মার্কিন ডলার পুরস্কার দেওয়া হয়েছে৷ এমআইটির টেক.কন সম্মেলনেও চৈতন্যের গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার জন্য আর্থিক পুরস্কারের ঘোষণা করেছে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement