সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক বেশি পাকিস্তানি বহিষ্কৃত হয়েছেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে। গত পাঁচ বছরে মোট ৫,৪৪,১০৫ জন পাকিস্তানিকে তাড়িয়েছে বিশ্বের মোট ১৩৪টি দেশ। ভারত, চিন, সৌদি আরব ছাড়াও এই তালিকায় রয়েছে বিশ্ব মানচিত্রে তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ দেশ লাওস, টোগো, পোর্ট লুইস, লাইবেরিয়া, ডোমিনিকান রিপাবলিক, গিনি, বারকিনা ফাসো, বুরুন্ডি, মালাউই, মোজামবিক, মাদাগাস্কার, কঙ্গো, ইথিওপিয়ার মতো দেশ।
[হিন্দুদের সবসময় নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত, হুঁশিয়ারি জঙ্গি নেতা মাক্কির]
মঙ্গলবার পাক সেনেটের সদস্য জেহানজেব জামালদিনির প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে এই তথ্য পেশ করে পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। সেই তথ্যকে উদ্ধৃত করে রিপোর্ট পেশ করে একটি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। রিপোর্টে বলা হয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি দেশ থেকে ঘাড় ধাক্কা খেয়েছেন পাক নাগরিকরা। ২০১২ সালের জানুয়ারি মাস থেকে ২০১৭ সালের জুন মাস পর্যন্ত একটি সমীক্ষা করা হয়েছে। মূলত এই সময়কালেই পাক নাগরিকদের উল্লিখিত দেশ থেকে বের করে দেওয়া হয়েছে।
[লস্কর-জৈশের উপর লাগাম টানুক পাকিস্তান, চাপ চিনের]
পাকিস্তান সরকারের তথ্য অনুযায়ী পাকিস্তানিদের দেশে ফেরার নির্দেশ সবচেয়ে বেশি জারি করেছে সৌদি আরব। তালিকা অনুযায়ী এরপর রয়েছে আমিরশাহী, ওমান, মালয়েশিয়া, ব্রিটেন, তুরস্ক ও গ্রিস। ভারত ২০১২ সালে ১২ জন পাক নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠায়।২০১৩ সালে ৬ জন, ২০১৪ সালে ১৩ জন. ২০১৫ সালে ১০ জন ও ২০১৬ সালে ৫ জনকে সীমান্তের ওপারে পাঠিয়ে দেয় নয়াদিল্লি। ২০১৭ সালের জুন মাস পর্যন্ত ৩ জন পাকিস্তানিকে দরজা দেখানো হয়েছে।
[রাতারাতি বাংলাদেশে প্রবেশ ১৩ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীর]
তবে ঠিক কী কী কারণে এতগুলো দেশ থেকে তাড়ানো হয় পাকিস্তানিদের। এই প্রশ্নও উঠেছে। রিপোর্টে কারণগুলির উল্লেখ করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমটি। তারা জানাচ্ছে, অনুপ্রবেশ, ভিসার মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া, অবৈধভাবে ভিসার মেয়াদ বাড়ানো, নিয়োগকারী সংস্থা দ্বারা ভিসা আটকে রাখা, ভিসা ছাড়াই অবৈধভাবে বসবাস এরকম নানা কারণ দেখানো হয়েছে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তের পিছনে।