সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লক্ষ্য দেশের প্রধান বিচারপতির শক্তি খর্ব করা। আর সেই লক্ষ্যেই পাকিস্তানের আইনমন্ত্রী আজম নাজির পেশ করলেন সুপ্রিম কোর্ট (অনুশীলন ও পদ্ধতি) বিল, ২০২৩। এর আগে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ”যদি প্রধান বিচারপতির শক্তি খর্ব করতে আইন না বানানো হয়, ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।” এরপরই ওই বিল পাকিস্তানের সংসদে পেশ করা হয়।
কিন্তু কেন প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা খর্ব করতে চাইছে শাহবাজ সরকার? পাক প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্য ও এই সংক্রান্ত বিল পেশ এমন সময় ঘটল, যখন পাকিস্তানের শীর্ষ আদালতেরই দুই বিচারপতি প্রধান বিচারপতির বিবেচনাধীন শক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। ওই বিচারপতিদের দাবি ছিল শীর্ষ আদালত কখনও একজন ব্যক্তি তথা প্রধান বিচারপতির একক সিদ্ধান্তের উপর নির্ভরশীল হতে পারে না। এই প্রসঙ্গে পাক সংবিধানের ১৯১ ধারার উল্লেখ করে তাঁরা বলেন, সমস্ত বিচারপতির সম্মতিতে তৈরি এক আইন-নির্ভর বিচারব্যবস্থার দ্বারাই সুপ্রিম কোর্টকে চালাতে হবে।
[আরও পড়ুন: ফের অধরা অমৃতপাল, পাঞ্জাব পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালালেন খলিস্তানি নেতা]
আসলে গত ২২ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি উমর আটা বান্ডিয়াল পাক পাঞ্জাব প্রদেশ ও খাইবার পাখতুনখাওয়ায় নির্বাচন নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত বিজ্ঞপ্তি জারি করেন। এরপর থেকেই পরিস্থিতি জটিল হতে থাকে। উল্লেখ্য, বহু বছর ধরেই পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু এই প্রথম এর বিরুদ্ধে সরাসরি চ্যালেঞ্জ জানাতে দেখা গেল দুই বিচারপতিকে।
[আরও পড়ুন: ‘রাশিয়া-ইউক্রেনের লড়াই ২৪ ঘণ্টায় থামিয়ে দিতে পারি’, ট্রাম্পের দাবি ঘিরে শোরগোল]
সব খবরের আপডেট পান সংবাদ প্রতিদিন-এ
Highlights
- লক্ষ্য দেশের প্রধান বিচারপতির শক্তি খর্ব করা। আর সেই লক্ষ্যেই পাকিস্তানের আইনমন্ত্রী আজম নাজির পেশ করলেন সুপ্রিম কোর্ট (অনুশীলন ও পদ্ধতি) বিল, ২০২৩।
- এর আগে পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বলেছিলেন, ''যদি প্রধান বিচারপতির শক্তি খর্ব করতে আইন না বানানো হয়, ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।''
- পাকিস্তানের শীর্ষ আদালতেরই দুই বিচারপতি প্রধান বিচারপতির বিবেচনাধীন শক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। তারপরই শরিফকে ওই মন্তব্য করতে দেখা যায়।