Advertisement
Advertisement

ভারতের ডসিয়ের খুলবে সন্ত্রাসের মুখোশ, এবার কী করবে পাকিস্তান?

কোথা থেকে কীভাবে অর্থ সাহায্য পাচ্ছে জঙ্গি সংগঠনগুলি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে৷

 Pakistan promises investigation on Pulwama dossier
Published by: Tanujit Das
  • Posted:March 1, 2019 5:58 pm
  • Updated:March 1, 2019 6:03 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাকিস্তানের মাটিতে সযত্নে লালিত-পালিত হচ্ছে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ৷ ওদেশের মাটিকে স্বর্গরাজ্যে পরিণত করে ফেলেছে জঙ্গিরা৷ পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলা করেছে জইশ৷ পুলওয়ামা কাণ্ডের পর থেকেই এই অভিযোগ করে এসেছে ভারত৷ স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে যা এড়িয়ে গিয়েছে পাকিস্তান৷ দু’দেশের মধ্যে বেড়েছে উত্তেজনা৷ শেষে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে নতিস্বীকার করেন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান৷ জানান, ভারত যথাযথ প্রমাণ দিলে, দোষীদের বিরুদ্ধে শাস্তি নেওয়া হবে৷ ইতিমধ্যে পাকিস্তানের হাতে জইশের বিরুদ্ধে তথ্য-প্রমাণ সম্বলিত সেই ডসিয়ের তুলে দিয়েছে ভারত৷ এবং যাতে রয়েছে একাধিক চাঞ্চল্যকর তথ্য৷

[দেশবিরোধী কাজে যুক্ত থাকায় কাশ্মীরে নিষিদ্ধ জামাত, রাডারে হুরিয়তও]

Advertisement

সূত্রের খবর, পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়া ডসিয়েরে জইশের বেশ কয়েকজন শীর্ষ কমান্ডারের নাম উল্লেখ করেছে নয়াদিল্লি৷ ভারতে নাশকতামূলক কার্যকলাপ চালাতে জইশের কোন কোন শীর্ষ নেতা পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঘাঁটি বানিয়েছে সেই তথ্য তুলে দেওয়া হয়েছে ডসিয়েরে৷ ডসিয়েরকে রয়েছে জইশের অর্থ সাহায্যের উৎসের খোঁজ৷ পাকিস্তানের একাধিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন থেকে অর্থ সাহায্য পাচ্ছে সমস্ত জঙ্গি সংগঠনগুলি৷ বহুবার এই অভিযোগ করেছে ভারত৷ গোয়েন্দা সূত্রে খবর, উক্ত ডসিয়েরে সেই সমস্ত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সম্পর্কিত তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে৷ কোথা থেকে কীভাবে অর্থ সাহায্য পাচ্ছে জঙ্গি সংগঠনগুলি সেই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য রয়েছে৷

Advertisement

[অভিনন্দনের জন্য গর্বিত প্রত্যেক ভারতীয়: নরেন্দ্র মোদি ]

পুলওয়ামা কাণ্ডের পর প্রতিশোধের আগুনে ফুটছিল গোটা দেশ৷ দেশবাসীর প্রতিশোধ স্পৃহাকে ব্যর্থ যেতে দেয়নি সেনা৷ গত মঙ্গলবার ভোররাতে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে জইশের তিনটে জঙ্গি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ধ্বংস করে দিয়ে আসেন বায়ুসেনার জওয়ানরা৷ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় বালাকোটে জইশের সবচেয়ে বড় জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবির৷ সঙ্গে মুজফ্ফরাবাদ ও চাকোতির জঙ্গি ক্যাম্পও ধ্বংস করা হয়৷ সূত্রের খবর,ডসিয়েরে জঙ্গিদের ওই ক্যাম্পগুলি সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য রয়েছে৷ সেখানে যেমন রয়েছে ক্যাম্পগুলির ভিতর ও বাইরের সমস্ত ছবি, তেমনই ক্যাম্পগুলির সাজসজ্জার বিস্তারিত বিবরণ৷ যার মধ্যেকার কয়েকটি ছবি ইতিমধ্যে প্রকাশ করেছে কেন্দ্র৷ বরাবরই ভারত, আমেরিকা-সহ আন্তর্জাতিক মহল অভিযোগ করলেও জঙ্গি পোষার অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে পাকিস্তান৷ কিন্তু কূটনৈতিক মহলের মতে, এই ছবিগুলিই প্রমাণ করে দেশের মাটিতে সন্ত্রাসবাদের বীজ বপণ হলেও নির্বিকার পাকিস্তান৷ ‘ইনফাক ফি সাবিউল্লাহ’ (আল্লার জন্য দান) চেয়ে একটি আবেদন করেছিলেন জইশ প্রধান মৌলানা মাসুদ আজহার৷ ধর্মের নাম করে যার মাধ্যমে সাধারণ মানুষের থেকে অর্থ তুলত জইশ৷ সূত্রের খবর, সেই ‘ইনফাক ফি সাবিউল্লাহ’-র কথা উল্লেখ করা হয়েছে ভারতের সেই ডসিয়েরে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ