সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সইদের জন্য নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করল পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের সরকার। একমাস আগে সুপ্রিম কোর্ট জামাত-উদ-দাওয়ার প্রধান হাফিজ সইদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা তুলে নেওয়ার কথা জানিয়েছিল। কিন্তু পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালতের সেই নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে পাঞ্জাব সরকার ফের সইদের জন্য নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ করল।
[ কিউবায় ভেঙে পড়ল বিমান, শতাধিক যাত্রীর মৃত্যু ]
শুক্রবার পাঞ্জাব প্রদেশের এক বর্ষীয়ান অফিসার জানিয়েছেন, হাফিজ সইদের নিরাপত্তার স্বার্থে নিরাপত্তা ব্যবস্থা মোতায়েন করা হয়েছে। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এই নির্দেশ দিয়েছেন। সইদ নাকি খুনের হুমকি পাচ্ছেন। সেই কারণেই তাঁকে নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে। পাঞ্জাব সরকার নিরাপত্তা দেওয়ার পর লাহোর হাই কোর্টে করা আবেদন তুলে নেয় সইদ। পাঞ্জাব সরকার আগে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সইদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা তুলে নেওয়া হবে। সরকারের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে লাহোর হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল সইদ।
গতমাসে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছিল, যারা ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষী পাওয়ার যোগ্য, তারাই একমাত্র এই সুযোগ পাবে। বাকিরা পাবে না। ইসলামাবাদের আইজিকে এই নির্দেশ দেয় আদালত। শীর্ষ আদালতের এই নির্দেশের পরই হাফিজ সইদের উপর থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা তুলে নেয় পাঞ্জাব সরকার। পরে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি জানান, কেউ খুনের হুমকি পেলে তখন অবশ্য পুলিশি নিরাপত্তা পাওয়া যাবে। কিন্তু কারা খুনের হুমকি পেল, তা দেখার এক্তিয়ার শুধু পুলিশ অফিসারদের। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে পাঞ্জাব সরকার প্রায় ৪ হাজার ৬১০ জনের ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা তুলে নেয়।
[ সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ভারতকে সমর্থন, হাফিজ সইদকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ আমেরিকার ]
তার নিরাপত্তা ব্যবস্থা তুলে নেওয়ার পর সইদ লাহোর হাই কোর্টের কাছে আবেদন করে। সইদের আইনজীবী একে ডোগর জানান, সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, কেউ খুনের হুমকি পেলে তাকে ব্যক্তিগত নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেওয়া হবে। পাঞ্জাব সরকার তাই হাফিজ সইদের জন্য নিরাপত্তাকর্মী মোতায়েন করেছে। সইদ বলেছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে ভুল বুঝেছিল পাঞ্জাব সরকার। তাই পরে সইদের নিরাপত্তাকর্মী ফের নিয়োগ করা হয়।
সইদের নিরাপত্তার দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে নিজের ঘাড়ে নিয়ে নিয়েছে জামাত-উদ-দাওয়া। এবার থেকে সে যেখানে যাবে জামাত-উদ-দাওয়ার বিশেষ স্কোয়াড ২৪ ঘণ্টা তার সঙ্গে থাকবে।