সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আফগানিস্তান থেকে ফেরার পথে আচমকা লাহোরে অবতরণ। সবাইকে চমকে দিয়ে নওয়াজ শরিফের জন্মদিনে যোগ দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে নাটকীয়তা থাকলেও প্রতিবেশী দেশ কড়ায় গণ্ডায় হিসাব বুঝে নেয়। লাহোরে মোদির নামার জন্য পাক সরকার প্রায় ৩ লক্ষ টাকা চেয়ে বসেছিল।
[যাত্রী নিরাপত্তা শিকেয়, ইরানে বিমান দুর্ঘটনায় মৃত ৬৬]
আরটিআই করে এমনই তথ্য পেয়েছেন সামাজিক আন্দোলন কর্মী লোকশে বাত্রা। তাঁর আবেদনের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানায় নওয়াজ শরিফের আমন্ত্রণে পাকিস্তানে যান ভারতের প্রধানমন্ত্রী। লাহোরের আলামা ইকবাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মোদিকে আনতে গিয়েছিলেন শরিফ। ভারতীয় বায়ুসেনার বোয়িং ৭৩৭ বিমানে নামেন মোদি। এরপর বিমানবন্দর থেকে এক বিশেষ চপারে করে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয় শরিফের বাসভবনে। লাহোরে নামা সেখান থেকে নওয়াজ শরিফের বাসভবন। আবার ফেরা। প্রধানমন্ত্রীর এই যাত্রাপথে জ্বালানি খরচ, বিমানবন্দর ভাড়া, কর্মীদের ভাড়া, হোটেল খরচ, কেটারিং, ক্যাপ্টেনের পারিশ্রমিক ও অন্যান্য খরচ ধরা হয়। সব মিলিয়ে বিল হয় ভারতীয় অর্থে ২ লক্ষ ৮৬ হাজার টাকা। এই অঙ্কের অর্থ মেটানোর জন্য পাক সরকার ভারতীয় হাই কমিশনারের কাছে বিল পাঠিয়েছিল। সাকুল্যে ২ ঘণ্টা মাত্র পাক ভূখণ্ডে ছিলেন মোদি। সামান্য সময়ের জন্য ৩ লক্ষ টাকা বিল বানানোয় পাক সরকারের ভূমিকায় অবাক অনেকেই। এমনকী ছোট ছোট খরচও সেই বিলে রাখা হয়। পাশাপাশি অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন জন্মদিনের মতো অনুষ্ঠানে আসা এক অতিথির ক্ষেত্রেও শিষ্টাচার ভুলেছে পাকিস্তান। তথ্য জানার অধিকারে এমন তথ্য আসায় কূটনৈতিক মহলে হইহই পড়ে গিয়েছে।
[ভোটের মুখে অশান্ত মেঘালয়, আইডি বিস্ফোরণে মৃত্যু এনসিপি প্রার্থীর]
ইরান, কাতার, রাশিয়া, আফগানিস্তান থেকে ভারতে ফিরছিলেন নরেন্দ্র মোদি। ২০১৫ সালের পঁচিশে ডিসেম্বর তাঁর এই সফর আন্তর্জাতিক মহলে শোরগোল ফেলেছিল। কারণ সেই সময় ভারত-পাকিস্তানের সম্পর্ক কার্যত তলানিতে এসে ঠেকেছিল। সম্পর্ক মেরামতি এবং শরিফের কথা রাখতেই ওপারে নামেন মোদি। কিন্তু তার জন্য পয়সা মেটাতে হবে তা হয়তো অনেকেই ভাবেননি।
[চালকের কানে মোবাইল, ছবি তুলে পুরস্কার পেলেন ক’জন?]