Advertisement
Advertisement

Breaking News

মুম্বইকে রক্তাক্ত করেছিল পাক জঙ্গিরাই, বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি নওয়াজের

রাওয়ালপিণ্ডির চোখ রাঙানিকে গ্রাহ্য না করে বয়ান প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রীর।

Pakistan terrorists carried out Mumbai attack: Nawaz Sharif
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 12, 2018 5:42 pm
  • Updated:May 12, 2018 5:42 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সন্ত্রাস নিয়ে ফের প্রকাশ্যে পাকিস্তানের দু’মুখো নীতি। বেনজিরভাবে সন্ত্রাসের চারণভূমির মুখোশ ছিড়ে ফেললেন দেশটির প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। মুম্বই হামলার উৎস পাকিস্তানেই, সাফ স্বীকার করলেন নওয়াজ। মুম্বইকে রক্তাক্ত করেছিল পাক জঙ্গিরাই। ভারতের অভিযোগকে সত্য প্রমাণিত করে শনিবার এমনটাই জানালেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী।

পাক সংবাদমাধ্যম ‘ডন’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের মতে, বিশ্বসন্ত্রাসের আঁতুরঘর যে পাকিস্তান তা একপ্রকার মেনে নিলেন শরিফ। রাওয়ালপিণ্ডির চোখ রাঙানিকে গ্রাহ্য না করে নওয়াজের এহেন বয়ানে সরকার ও সেনার মধ্যে বিরোধের আভাস ফের স্পষ্ট হয়ে উঠল। ইসলামাবাদের নীতিনির্ধারকদের রাশ যে আসলে রাওয়ালপিণ্ডির সেনা কর্তাদের হাতে রয়েছে তা গোপন কিছু নয়।

Advertisement

[রোহিঙ্গাদের নির্যাতন, মায়ানমারের বিরুদ্ধে তোপ নোবেলজয়ী কারমানের]

২০০৮ সালের ২৩ নভেম্বর দশ জঙ্গি করাচি থেকে জলপথে মুম্বইয়ে প্রবেশ করেছিল। তারপর ২৬ নভেম্বর জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত হয়েছিল বাণিজ্যনগরী। সসস্ত্র লস্কর-ই-তৈবা জঙ্গিরা হামলা চালায় ছত্রপতি শিবাজি টার্মিনাস, ওবেরায় হোটেল, তাজ হোটেল এবং লিওপোল্ড কাফেতে। সন্ত্রাস হানায় মৃত্যু হয়েছিল ১৬৬ জন সাধারণ মানুষের। আহত হয়েছিলেন ৩০০ জনেরও বেশি মানুষ। তিনদিনের প্রচেষ্টায় জঙ্গি নিকেশ করতে সফল হয়েছিল ভারতীয় সেনা। সেই ঘটনার পর ভারত-পাক সম্পর্ক আরও তলানিতে গিয়ে ঠেকেছিল। আর এই গোটা ঘটনা যে পাকিস্তানই ঘটিয়েছে, তা এবার স্বীকার করে নিলেন শরিফ। তিনি বলেন, “পাক ভূমিতে ফুলে ফেঁপে উঠছে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠন। নেপথ্যে থেকে কলকাঠি নাড়ছে তারাই। সীমান্ত পেরিয়ে মুম্বইয়ে প্রবেশ করে দেড়শো সাধারণ মানুষের প্রাণনাশ করবে জঙ্গিরা? তা কি কখনও হতে দেওয়া যায়?”

Advertisement

সংবাদপত্রের তরফে শরিফকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, রাউলপিণ্ডি আদালতে কেন মুম্বই হামলার অভিযুক্তদের মামলা থমকে রয়েছে? জঙ্গি হামলার সমালোচনা করে শরিফ বলছেন, “এমন ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। এটা কাম্যও নয়।” সেই সঙ্গে সরকার ও সেনার মধ্যে বিরোধিতার ছবি স্পষ্ট তুলে ধরে শরিফ বলছেন, “যে দেশে পাশাপাশি দুটি বা তিনটি সরকার চলে সেখানে সমস্যা হবেই। এটা বন্ধ হওয়া উচিত। একটা দেশে একটাই সরকার এবং একটাই নির্দিষ্ট আইন থাকা উচিত।

[ইতিহাস গড়ে মহাকাশে বাংলাদেশ, ফ্যালকন রকেটে পাড়ি ‘বঙ্গবন্ধু-১’ উপগ্রহের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ