Advertisement
Advertisement
Kartarpur

কর্তারপুর সাহিবে ফটোশুট করে বিপাকে পাক মডেল, গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব অকালি দল

শিখদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ।

photoshoot In Front Kartarpur Gurudwara Akali Dal Demands Arrest of Pakistan Model | Sangbad Pratidin
Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:November 29, 2021 4:54 pm
  • Updated:November 29, 2021 5:08 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কর্তারপুর সাহিব গুরুদ্বারে (Kartarpur Sahib Gurudwara) ফটোশুট করে বিতর্কে জড়ালেন এক পাক মডেল (Pakistani Model)। পাকিস্তান সরকারের কাছে ওই পাক মডেলের গ্রেপ্তারির দাবি জানাল অকালি দল (Shiromani Akali Dal)। দিল্লির শিখ গুরুদ্বার ম্যানেজমেন্ট কমিটির পক্ষ থেকেও অভিযোগ করা হয়েছে, খালি মাথায় গুরুদ্বারের দিকে পিছনে ফিরে পোজ দিয়েছেন মডেল। এভাবে শিখদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করা হয়েছে।

জানা গিয়েছে, ওই পাক মডেল মন্নত নামের একটি অনলাইন ক্লোদিং স্টোরের জন্য ‘গুরুদ্বার দরবার সাহিব কমপ্লেক্সে’ একটি ফটোশুট করেন। ফটোশুটের ছবিতে দেখা গিয়েছে, পাক মডেল গুরুদ্বারের দিকে পিছন ফিরে পোজ দিচ্ছেন। তাঁর মাথা অনাবৃত। এই ভিডিও শুটের ছবিই মন্নত ক্লোদিংয়ের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করা হয়, যাকে তীব্র আপত্তিকর ও ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত বলছেন শিখরা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ফ্রান্সে ‘ওমিক্রন’ আতঙ্ক, ৮ জনের শরীরে মিলল করোনার নয়া স্ট্রেন]

‘দিল্লি শিখ গুরুদ্বার ম্যানেজমেন্ট কমিটি’-র প্রেসিডেন্ট পরমজিৎ সিং সরনা (Paramjit Singh Sarna) বলেন, বিষয়টি ভীষণই আপত্তিকর এবং তা শিখ ধর্মাবলম্বী মানুষের ধর্মীয় আবেগে আঘাত। কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন শিরোমনি অকালি দলের অন্যতম নেতা মনজিন্দর সিং সিরসা (Manjinder Singh Sirsa)। তিনি টুইট করেন, “শ্রী কর্তারপুর সাহিবে মডেলিং অপবিত্র কাজ। কিছুদিন আগে এক পাক তারকা মসজিদে ভিডিও শুট করে, তারপর তাঁর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিল পাক আদালত। এই মহিলাকেও গ্রেপ্তার করতে হবে।”

এই বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সাধারণ শিখরাও কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। সকলেরই বক্তব্য কর্তারপুর সাহিবের পবিত্রতা নষ্ট করেছেন এই পাক মডেল। দিল্লির শিখ গুরুদ্বার ম্যানেজমেন্ট কমিটি’-র প্রেসিডেন্ট পরমজিৎ সিং সরনা সংশ্লিষ্ট পাক কর্তৃপক্ষের কাছে আর্জি জানিয়েছেন, এবার থেকে গুরুদ্বারগুলিতে ইংরেজি এবং উর্দুতে নির্দেশিকা থাকতে হবে। সেখানে আগত দর্শনার্থীরা যেন কাঙ্ক্ষিত আচরণ করেন, তাঁরা যেন শিখ ‘কোড অফ কন্ডাক্ট’ মেনে চলেন। কেউ যেন গুরুদ্বারের দিকে পিছন ফিরে না দাঁড়ান বা তাঁদের মাথা অনাবৃত না থাকে।

[আরও পড়ুন: ‘আল্লা খাবার দেবে’, দুর্ভিক্ষের কবলে পড়া আফগানদের আশ্বাস তালিবান প্রধানমন্ত্রী আখুন্দের]

এদিকে এক পাক মন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী শিখ আবেগের পক্ষে দাঁড়িয়ে টুইট করেছেন। পাক মন্ত্রীর কথায়, “অভিযুক্ত মডেলের ক্ষমা চাওয়া উচিত। কর্তারপুর সাহিব ধর্মীয় স্থান, সিনেমার সেট নয়।” ইতিমধ্যে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চেয়েছে মন্নত ক্লোদিংও।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ