সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নগ্নতা। আদিম যুগে যা ছিল অত্যন্ত সাধারণ একটি বিষয়, কালের পরিবর্তনে ধীরে ধীরে সেই নগ্নতার সংজ্ঞা বদলে গিয়েছে। বদলে গিয়েছে সমাজে মানুষের নগ্ন শরীরকে দেখার ভঙ্গিমাও। যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে সাধারণ নিয়মেই বদলেছে মানুষের চিন্তাধারা। তাই নগ্নতাও এখন নিজের স্বভাব পালটেছে। কিন্তু আজও এমন কিছু দেশ আছে, যেখানে মানুষের নগ্নতাকে আর পাঁচটা বিষয়ের মতো স্বাভাবিকভাবেই দেখা হয়। রাস্তা দিয়ে নগ্নভাবে হেঁটে গেলে বিস্ফারিত চোখে চেয়ে দেখেন না পথচারীরা। হ্যাঁ, ইদানীং অবশ্য দুনিয়া জুড়ে বেশ কিছু রেস্তরাঁ গজিয়েছে, যেখানে নগ্নতাই দস্তুর। তবে রেস্তরাঁ ছাড়াও এমন অনেক জায়গা রয়েছে, যেখানে মানুষ অবাধে বিনা পোশাকে ঘুরে বেড়াতে পারেন। এমনই কিছু জায়গার ছবি তুলে ধরা হল এই প্রতিবেদনে।
বিশ্ব নগ্ন মোটরবাইক রাইড:
প্রতিবারই এই মোটরবাইক রাইডের আয়োজন করা হয়, যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বাইকে ঘোরেন অংশগ্রহণকারীরা। এখানে পোশাক পরাটা অপশনাল। অর্থাৎ ইচ্ছে হলে পরবেন, নাহলে নয়। এই রাইডের উদ্দেশ্য বিশ্বের কাছে নিরাপদ, পরিষ্কার ও সুস্থ শরীরের বার্তা তুলে ধরা।
টোকিওর নগ্ন হট স্প্রিং বাথিং:
টোকিওর প্রত্যন্ত গ্রামে ট্র্যাডিশন মেনে আজও হট স্প্রিংয়ে মহিলা ও পুরুষ একসঙ্গে নগ্ন হয়ে স্নান করেন। সেখানকার ছোট ছোট হোটেলগুলিতেও রয়েছে একই ব্যবস্থা।
বালির আয়ানা রিসর্টের নেকেড স্পা ট্রিটমেন্ট:
ইন্দোনেশিয়ার এই শহরের রিসর্টটি নেকেট স্পা ট্রিটমেন্টের জন্য বেশ জনপ্রিয়। এখানে আপনি স্পা করিয়ে যা তৃপ্তি পাবেন, তা খুব কম জায়গাতেই মেলে।
হেলসিঙ্কির নেকেড সওনা:
ফিনল্যান্ডের হেলসিঙ্কির পুরুষ ও মহিলাদের একসঙ্গে সওনা বা বিশেষ স্নানের ব্যবস্থা বেশ বিখ্যাত। কারণ অন্যান্য সওনার থেকে এর ধরন এক্কেবারে আলাদা। একমাত্র এখানেই কাঠ পুড়িয়ে সওনার ব্যবস্থা রয়েছে। যার উৎপত্তি সেই ১৯২৮ সালে। তাই এই এলাকায় অনেককেই মাসাজ এবং সওনার জন্য নগ্নভাবে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়।
অস্ট্রিয়ার নেকেড আর্ট ফেস্টিভ্যাল:
অস্ট্রিয়ার এই বিখ্যাত কলা উৎসবের কথা অনেকেরই জানা। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চিত্রশিল্পীরা হাজির হন এই উৎসবে। যেখানে নগ্ন মডেলদের শরীরে নিজেদের রঙিন চিত্রকলা ফুটিয়ে তোলেন তাঁরা। তাই এই উৎসবে নগ্নতাকে শিল্পীর চোখ দিয়েই দেখতে অভ্যস্ত দর্শকরাও।
ফ্রান্সের নেকেড সিটি
শুনে একটু অবাক হতে পারেন। তবে ফ্রান্সে একটি শহর রয়েছে, যেখানে মানুষ নগ্ন থাকতেই অভ্যস্ত। বিষয়টি সেখানে আইনিও। বরং পোশাক পরে সে শহরে পা রাখলেই হয়তো শহরবাসী বিষম খাবেন। শহরের নাম ক্যাপ ডি’ অ্যাজ।
মিউনিখের নেকেড পার্ক
জার্মানির এই শহরে অবস্থিত নেকেড পার্কটি ইউরোপের অন্যতম বড় পার্ক। সেই ১৯৬০ সাল থেকে এই পার্কে মানুষ নগ্নভাবেই ঘোরাফেরা করেন। যা একেবারেই বেআইনি নয়। সরকারের অনুমতিতেই সব হয়। এর পাশাপাশি মিউনিখে রয়েছে ছটি ‘আরবান নেকেড জোন’। যেখানে প্রকাশ্যে নগ্নভাবে ঘোরায় কোনও বাধা নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.