Advertisement
Advertisement

সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘন, সাংহাই সম্মেলনে পাকিস্তানকে চাপে ফেলতে পারেন মোদি

বক্তৃতায় বিশেষ স্থান দেওয়া হচ্ছে 'ক্রশ বর্ডার ফায়ারিং'কে।

PM Modi to raise terror issue in Shanghai summit
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 5, 2018 5:36 pm
  • Updated:June 5, 2018 5:36 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মুখে শান্তির কথা বললেও, পবিত্র রামজানের পরোয়া করছে না পাকিস্তান৷ সীমান্তে লগাতার সংঘর্ষবিরতি লঙ্ঘণ করে চলেছে পাক সেনা৷ আন্তর্জাতিক মহলের সামনে পাকিস্তানের মুখোশ খুলে দিয়ে আরও একবার তাদের আসল রূপটা সামনে আনতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ আসন্ন সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন সামিটেই কাজটি সেরে ফেলতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী৷ নিজের বক্তব্যে, পাক রেঞ্জার্সদের ক্রশ বর্ডার গুলি চালনার কার্যকলাপকে প্রাধান্য দিতে পারেন তিনি৷ এমনই মনে করছেন কূটনৈতিক মহল৷

[রোহিঙ্গা শরণার্থীদের রান্নার জ্বালানি জোগাতে বন উজাড় কক্সবাজারে]

Advertisement

চলতি মাসের ৯ ও ১০ তারিখ চিনে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এই বছরের সাংহাই সামিট৷ প্রথমবারের জন্য পূর্ণ সদস্য হিসাবে এবারের বৈঠকে যোগদান করতে চলেছে নয়াদিল্লি ও সঙ্গে ইসলামাবাদ৷ ফলে এই সামিটকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন মোদি সরকারের কূটনৈতিক আমলারা৷ সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে পারেন আইএস, লস্কর, জইশ, হাক্কানি নেটওয়ার্কের মতো জঙ্গি ও সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলিকে৷ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে তাদের সাহায্যকারীদেরও তুলোধোনা করতে পারেন তিনি৷ তবে, কৌশলগত কারণেই মোদি এড়িয়ে যেতে পারেন, চিন ও পাকিস্তান যৌথভাবে যে ইকোনমিক করিডর তৈরি করছে সেই বিষয়টিকে৷ আফগানিস্তানের জ্বলন্ত সমস্যা তালিবান৷ সেই সমস্যাও এই বৈঠকে আলোচনায় উঠে আসতে পারে বলে খবর৷ আলোচনা থাকতে পারে, সন্ত্রাসবাদকে রুখতে কেমন ভাবে একজোট হয়ে কাজ করতে পারেন সাংহাই সংগঠনের সদস্যরা সেই বিষয়টিও৷

Advertisement

[ট্রাম্প-কিম ঐতিহাসিক বৈঠকের সমস্ত খরচ বহনে ইচ্ছুক নোবেলজয়ী এই সংস্থা]

সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন-কে ইউরেশিয়ান সংগঠন বলা হয়৷ ভৌগলিক অবস্থান ও জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বের সবচেয়ে বড় আঞ্চলিক সংগঠন এটি৷ ১৯৯৬-তে যখন এই সংগঠন তৈরি হয়, তখন এর পূর্ণ সদস্য ছিল চিন, রাশিয়া, কাজাখস্তান, কিরগিজস্তান ও তাজিকিস্তান৷ পরে ২০০১-তে যুক্ত করা হয়, উজবেকিস্তানকে৷ এবং গত বছর সংগঠনে পূর্ণ সদস্যপদ দেওয়া হয় ভারত ও পাকিস্তানকে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ