Advertisement
Advertisement

Breaking News

Uyghur

উইঘুরদের প্রতি চিনের আচরণের সঙ্গে নাৎসিদের ইহুদি দমনের তুলনা! বেজিংকে তোপ পম্পেওর

বিদায়বেলায় আবারও চিনের প্রতি ক্ষোভ উগরে দিলেন মার্কিন বিদেশ সচিব।

Pompeo slams China’s treatment of Uyghurs, compares it to Nazi Germany | Sangbad Pratidin
Published by: Biswadip Dey
  • Posted:December 15, 2020 4:53 pm
  • Updated:December 15, 2020 4:53 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিদায়বেলায় আবারও বেজিংকে আক্রমণ করলেন মার্কিন বিদেশ সচিব মাইক পম্পেও (Michael Pompeo)। চিনে যেভাবে মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়, তেমনটা আর কোথাও হয় না বলে আগেও তাঁকে তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে। এবার ফের সেই প্রসঙ্গ তুলেই উইঘুর (Uyghurs) মুসলিমদের প্রতি চিনের আচরণকে তিনি তুলনা করলেন নাৎসি জার্মানিতে (Nazi Germany) ইহুদি দমনের সঙ্গে।

‘ওয়েক আপ আমেরিকা’-র জন্য রব স্কিমিটকে এক সাক্ষাৎকারে এমনই বিস্ফোরক মেজাজে বেজিংয়ের সমালোচনা করতে দেখা গেল পম্পেওকে। তাঁর কথায়, ‘‘চিন (China) ভয়ানক ভাবে খারাপ। তারা লক্ষ লক্ষ উইঘুর মুসলমানদের সঙ্গে যে আচরণ করেছে তা ভয়ঙ্কর। তিনের দশকের জার্মানির পর আর এমনটা দেখা যায়নি।’’

Advertisement

[আরও পড়ুন: নিজের স্বার্থসিদ্ধির জন্য রাজতন্ত্রের সমর্থনকারীদের সাহায্য করছেন ওলি, অভিযোগ নেপালি কংগ্রেসের]

বহু দেশই চিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে, সেখানে উইঘুর মুসলিমদের প্রবল নির্যাতনের শিকার হতে হয়। অতিমারীর সময় এই অত্যাচার আরও বেড়েছে। অসংখ্য উইঘুর মুসলিমকে বন্দিশিবিরে পাঠানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালে শিনজিয়াং প্রদেশে সাম্প্রদায়িক অশান্তি হওয়ার পর থেকেই উইঘুর মুসলিমদের ধ্বংস করার চেষ্টা চালাচ্ছে চিন। দেশের একদম পশ্চিমে অবস্থিত উইঘুর অধ্যুষিত এই প্রদেশে বসবাসকারী মানুষদের উপর অত্যাচারের কাহিনি শুনে শিউরে উঠেছে গোটা বিশ্ব। তারপরও কোনও হেলদোল নেই শি জিনপিংয়ের সরকারের। মানবাধিকার সংগঠন অ্যামেনেস্টি কিংবা ইসলামিক দেশগুলির সংগঠন সবাই এই বিষয়ে বেজিংয়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেও লাভ হয়নি কোনও।

Advertisement

অতিমারীর সুযোগে উইঘুরদের প্রতি চি‌নের বাড়তে থাকা নির্যাতন প্রসঙ্গে এদিন পম্পেওকে প্রশ্ন করা হলে তিনি চিনের প্রবল নিন্দা করার পাশাপাশি জানান, ধর্মীয় স্বাধীনতা মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। আমেরিকায় ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার যেভাবে রক্ষিত হয়, তারও ভূয়সী প্রশংসা করেন‌ তিনি। তাঁর মতে, যে দেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সহিষ্ণুতা দেখানো হয় সেখানে অনেক ভাল কাজ করা সম্ভবপর হয়।

[আরও পড়ুন: আমন্ত্রণ গ্রহণ করলেন বরিস জনসন, সাধারণতন্ত্র দিবসে প্রধান অতিথি ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী]

এদিনের সাক্ষাৎকারে করোনার কারণে বহু ধর্মীয় স্থান বন্ধ রেখেও পানশালা ও ক্যাসিনো খুলে রাখার বিরোধিতা করেন তিনি। তাঁর মতে, উপাসনার স্থানে মানুষ জড়ো হয় বিশ্বাসের টানে। করোনার দোহাই দিয়ে সেগুলি বন্ধ রাখার সমালোচনা করেন তিনি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ