Advertisement
Advertisement

Breaking News

পোপ ফ্রান্সিস

করোনায় আক্রান্ত নন পোপ ফ্রান্সিস, স্বস্তি ফিরল ভ্যাটিকানে

পোপের শরীরে ভাইরাস মেলেনি।

Pope Francis tests negative for coronavirus: Reports
Published by: Subhamay Mandal
  • Posted:March 3, 2020 6:42 pm
  • Updated:March 3, 2020 8:08 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাগাতার হাঁচি-কাশির জেরে কর্মসূচি বাতিল। পোপ ফ্রান্সিস (Pope Francis) কি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত? আশঙ্কার মেঘ জমেছিল ভ্যাটিকানের আকাশে। তবে জল্পনায় ইতি টানল মেডিক্যাল পরীক্ষার রিপোর্ট। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত নন পোপ ফ্রান্সিস। রিপোর্ট নেগেটিভ বলে মঙ্গলবার প্রকাশিত হয়েছে ইটালির প্রথম সারির দৈনিক মেসাগ্গেরো-তে। স্বস্তির নিঃস্বাস ফেলল ভ্যাটিকান-সহ বিশ্বের ক্যাথলিক সমাজ।

যদিও মেডিক্যাল রিপোর্ট নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে ভ্যাটিকান সিটি (Vatican City)। সরকারিভাবে মুখপাত্র ম্যাট্টেও ব্রুনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি পোপের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে। উল্লেখ্য, দিন কয়েক ধরে পোপের শারীরিক পরিস্থিতি, গতিবিধি করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার জল্পনা আরও দৃঢ় করে তুলছিল। অনেকেই তাঁকে অবিরাম হাঁচতে, কাশতে দেখেন। সেইসঙ্গে তিনি মুখ ঢেকে রাখছেন সার্জিক্যাল মাস্ক দিয়ে। বেশ কয়েকটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তাঁর ভাষণও বাতিল করা হয়েছে পোপের কার্যালয় সূত্রে। রবিবার রোমের এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ভাষণ দেওয়ার কথা ছিল পোপ ফ্রান্সিসের। সঙ্গে ভ্যাটিকানের গণ্যমান্যদেরও থাকার কথা।

Advertisement

[আরও পড়ুন: চিনে দূষণ কমাল করোনা, নাসার ছবিতে মিলল চমকপ্রদ তথ্য  ]

কিন্তু আচমকা প্রায় শেষ মুহূর্তে সেই সফর বাতিল করে দেওয়া হয়। ওই দিন বিকেলে সেন্ট পিটার্স স্কোয়্যারে ক্যাথলিকদের বিশেষ ধর্মীয় আচার উপলক্ষে জমায়েত হওয়া হাজার জনের সমাবেশে অসুস্থ পোপকে দেখা যায়। কথা বলতে বলতেও বারবার কেশে উঠছিলেন ৮৩ বছর বয়সী পোপ। বক্তব্যের শুরুতেই তিনি ঘোষণা করেন দেন, “দুর্ভাগ্যবশত আমি ঠাণ্ডায় কাবু হয়ে গিয়েছি। এবার আর এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারছি না। আমি বাড়ি থেকেই সমস্ত নিয়মাবলি পালন করব। আপনাদের সঙ্গে থাকব।” ১৯৫০ সালের পর এই প্রথম ক্যাথলিকদের ওই বিশেষ অনুষ্ঠানে ভাষণ দিলেন না কোনও পোপ।

Advertisement

এরপরই আশঙ্কার মেঘ ঘনায় ভ্যাটিকানের আকাশে। তাহলে কি মারণ ভাইরাসের ছোবল খেলেন ক্যাথলিক ধর্মগুরু? তুঙ্গে ছিল জল্পনা। সূত্রের খবর, পোপ ফ্রান্সিসের ফুসফুসের একটি অংশ বাদ পড়েছিল মাত্র ২০ বছর বয়সেই। যখন তিনি বুয়েনস এয়ার্সের বাসিন্দা ছিলেন। এখন, তিরাশিতে পৌঁছে সেই সংক্রান্ত সমস্যা দেখা যাওয়া খুবই স্বাভাবিক। পায়ে সাইটিকার ব্যথা হওয়ায় তাঁকে নিয়মিত ফিজিওথেরাপির মধ্যেও থাকতে হয়। সিঁড়ি ভাঙা নিষেধ। শেষপর্যন্ত কোভিড-১৯ স্টেন্ট পরীক্ষার (করোনা ভাইরাস আক্রান্ত কিনা জানার জন্য যে পরীক্ষা করা হয়) রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। যা নিয়ে স্বস্তি ফিরেছে ভ্যাটিকানে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ