Advertisement
Advertisement

Breaking News

ভারতীয় দূতাবাস

ব্রিটেনের ভারতীয় দূতাবাসে ভাঙচুর পাক বংশোদ্ভূতদের, নিন্দায় সরব আন্তর্জাতিক মহল

ঘটনার নিন্দা করেছেন পাক বংশোদ্ভূত লন্ডনের মেয়র সাকিব খানও।

Protests by Pakistan supporters at Indian High Commission in London
Published by: Tanujit Das
  • Posted:September 4, 2019 10:43 am
  • Updated:September 6, 2019 3:15 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আন্তর্জাতিক মহলে আরও বেআব্রু পাকিস্তান৷ ভারতের স্বাধীনতা দিবসে যে ঘটনা ঘটিয়েছিল, আবারও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল মঙ্গলবার৷ কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা বিলুপ্তির প্রতিবাদে ব্রিটেনে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসে ভাঙচুর চালাল পাক বংশোদ্ভূত ব্রিটেনের নাগরিকরা৷ ডিম, টমেটো, জুতো, পাথর নিয়ে হামলা করা হল দূতাবাসের উপর৷ ঘটনায় ভেঙেছে দূতাবাসের জানালার কাচ৷ এর প্রতিবাদে ব্রিটেন সরকারের দ্বারস্থ হয়েছে ভারত৷ নিন্দায় সরব আন্তর্জাতিক মহল৷

[ আরও পড়ুন: ‘কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ’, স্বীকারোক্তি পাকিস্তানের সরকারি আইনজীবীর]

Advertisement

জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার ব্রিটেনে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের সামনে জটলা করে প্রায় হাজার দশেক পাক বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ নাগরিক। ‘কাশ্মীর ফ্রিডম মার্চ’ নামের একটি কর্মসূচি পালন করে তারা। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের পতাকা হাতে নিয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে৷ ভারতবিরোধী স্লোগান দিতে শোনা যায় তাদের৷ ‘ইউ ওয়ান্ট ফ্রিডম’, ‘স্টপ সেলিং ইন কাশ্মীর’ ইত্যাদি স্লোগান শোনা যায় বিক্ষোভকারীদের গলায়৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, স্লোগান দিতে দিতে হঠাৎই ভারতীয় দূতাবাসকে লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়তে থাকে প্রতিবাদীরা৷ ইটের আঘাতে দূতাবাসের জানালার কাচ ভেঙে যায়৷ দূতাবাসকে লক্ষ্য করে ডিম, টমেটো, জুতোও ছোঁড়া হয়৷ ইতিমধ্যে পাক বিক্ষোভকারীদের অভব্যতার সেই ছবি ট্যুইট করেছে ভারতীয় দূতাবাস। ঘটনার নিন্দা করেছেন পাক বংশোদ্ভূত লন্ডনের মেয়র সাকিব খানও। এই ধরনের আচরণ মেনে নেওয়া যায় না বলে জানিয়েছেন তিনি৷

Advertisement

[ আরও পড়ুন: পর্নস্টার জনি সিনস কাশ্মীরের বাসিন্দা! প্রাক্তন পাক রাষ্ট্রদূতের টুইটে বিতর্ক ]

উল্লেখ্য, গত ১৫ আগস্টও ব্রিটেনের ভারতীয় দূতাবাসের সামনে একই ধরনের বিক্ষোভ প্রদর্শন করে পাক বংশোদ্ভূত ব্রিটেনের নাগরিক ও খালিস্তানিরা৷ যাতে নেতৃত্ব দিতে পাকিস্তান থেকে লন্ডন গিয়েছিলেন ইমরান খানের ঘনিষ্ঠ বন্ধু জুলফি বুখারি। সেই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ফোন করে দুঃখপ্রকাশ করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন। আলোচনায় একে অপরকে পারস্পরিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন দুই রাষ্ট্রপ্রধান। কিন্তু তারপরেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ায়, দূতাবাসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ