Advertisement
Advertisement

Breaking News

Russia

ইউক্রেনের ‘হামলায়’ ডুবল রুশ নৌসেনার গর্বের রণতরী ‘মস্কোভা’, আরও চাপে পুতিন

প্রচণ্ড বিস্ফোরণে দ্বিখণ্ডিত হয়ে তলিয়ে যায় কৃষ্ণসাগরের 'মৃত্যুদূত' হিসেবে পরিচিত যুদ্ধজাহাজটি।

Russian warship Moskva sank, Ukraine claims hit | Sangbad Pratidin
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:April 15, 2022 2:35 pm
  • Updated:April 15, 2022 2:35 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইউক্রেনের (Ukraine) ‘হামলায়’ ডুবল রুশ নৌসেনার গর্বের রণতরী ‘মস্কোভা’। বুধবার প্রচণ্ড বিস্ফোরণে দ্বিখণ্ডিত হয়ে তলিয়ে যায় কৃষ্ণসাগরের ‘মৃত্যুদূত’ হিসেবে পরিচিত যুদ্ধজাহাজটি। তবে মস্কোর দাবি, ইউক্রেনের হামলায় নয়, দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়ে সলিল সমাধি ঘটেছে জাহাজটির।

[আরও পড়ুন: যুদ্ধের মধ্যেই ‘অস্বাভাবিক কারণে’ হৃদরোগে আক্রান্ত রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রী! বাড়ছে গুঞ্জন]

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, রাশিয়ার ‘ব্ল্যাক সি ফ্লিটে’র ফ্ল্যাগশিপ ‘মস্কোভা’। রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রক সূত্রে খবর, মস্কোভায় বিস্ফোরণের জেরে জাহাজটির অস্ত্রাগারে আগুন ধরে গিয়েছিল। তাতেই ঘটে বিস্ফোরণ। তারপর বন্দরে নিয়ে আসার সময় খারাপ আবহাওয়ার জেরে ডুবে যায় জাহাজটি। এদিকে, ‘মস্কোভা’র ডুবে যাওয়াকে রাশিয়ার বড় ব্যর্থতা বলে দাবি করেছে পেন্টাগন। অন্যদিকে, ইউক্রেনের দাবি, তাদের হামলায় ধ্বংস হয়েছে জাহাজটি। ইউক্রেনীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রকের বক্তব্য, মস্কোভায় আছড়ে পড়ে দু’টি জাহাজ বিধ্বংসী নেপচুন মিসাইল। এর ফলে আগুন ধরে যায় জাহাজটিতে। এই দাবির সপক্ষে যুক্তি দিয়েছেন ওডেসা প্রদেশের গভর্নর মাকসিম মারচেঙ্কো। বলে রাখা ভাল, যুদ্ধর শুরুর দিকে কৃষ্ণসাগরের স্নেক আইল্যান্ডে ইউক্রেনের বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছিল ‘মস্কোভা’।

Advertisement

এবার প্রশ্ন হচ্ছে মস্কোভা ডুবে যাওয়ায় কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ছে রাশিয়া? উত্তরে বলা যেতে পারে, এই মুহূর্তে কৃষ্ণসাগরে রণতরীটির জায়গা নেওয়ার মতো কোনও জাহাজ পুতিন বাহিনীর হাতে নেই। ১৯৮২ সালে রুশ নৌসেনায় যুক্ত হওয়ার পর থেকেই গোটা নৌবহরের জন্য মিসাইল ডিফেন্স সিস্টেমের কাজ করছিল জাহাজটি। ২০১০ সালে জাহাজটির আধুনিকীকরণের পর কমান্ড অ্যান্ড কন্ট্রোল সেন্টার হিসেবেও কাজ করছিল মস্কোভা। ফলে এহেন ক্ষমতা থাকা জাহাজ ফের তৈরি করতে অনেকটাই বেগ পেতে হবে রাশিয়াকে।

Advertisement

এদিকে, রাশিয়ার দুই পড়শি সুইডেন এবং ফিনল্যান্ড ন্যাটো সদস্য হলে পরমাণু যুদ্ধের মুখে পড়তে পারে পূর্ব ইউরোপ। পুতিন ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত রাশিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ সেই হুমকি দিয়েছেন। রাশিয়ার সঙ্গে ফিনল্যান্ডের প্রায় ৮১০ মাইল সীমান্ত রয়েছে। একইভাবে সীমান্ত ভাগ করে সুইডেন। এই দুই রাষ্ট্রের প্রশাসনের কাছে আসা ন্যাটোয় যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব এখনও বিবেচনাধীন। তার আগেই সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা এবং পরমাণু যুদ্ধের প্রচ্ছন্ন দিয়ে রাখল মস্কো।

[আরও পড়ুন: ‘আপনাদের দেশে মানবাধিকার নিয়েও আমরা চিন্তিত’, আমেরিকাকে যোগ্য জবাব বিদেশমন্ত্রীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ