Advertisement
Advertisement

অত্যাধুনিক ‘সুখোই-৩৫’ কিনে রাশিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছে চিন

নয়াদিল্লিকেই কি ঘুরিয়ে বার্তা মস্কোর?

Russo-Chinese Bonhomie: Russia Supplies Sukhoi Jets To China
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:January 2, 2017 4:17 pm
  • Updated:January 2, 2017 6:08 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাশিয়া ও চিনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নজিরবিহীন উত্থান। নির্ধারিত সময়ের প্রায় দু’বছর পর হলেও চিনকে ৪টি অত্যাধুনিক সুখোই-৩৫ ফাইটার জেট সরবরাহ করল রাশিয়া। এই যুদ্ধবিমানটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর সুখোই-৩০ ফাইটার জেটের আধুনিক ভার্সন। তবে কি চিনকে চারটি নতুন যুদ্ধবিমান দিয়ে ঘুরিয়ে ভারতকেই কোনও বার্তা দিতে চাইল রাশিয়া? বস্তুত, বহুদিনের পুরনো বন্ধু রাশিয়ার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক এখন প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছে। অন্যদিকে, পাল্লা দিয়ে ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে চিন-রাশিয়ার।

২০১৬-র ২৫ ডিসেম্বর নয়া সুখোই ফাইটার জেটগুলি চিনকে সরবরাহ করেছে রাশিয়া, জানিয়েছে পিপলস লিবারেশন আর্মির ওয়েবসাইট। যুদ্ধবিমানগুলি দুবছর আগেই বেজিংকে সরবরাহ করার কথা থাকলেও এক বিশেষ কারণে টালবাহানা করছিল মস্কো। সেবছরই চিন ‘জে-২০ স্টেলথ ফাইটার জেট’-এর পরীক্ষামূলক উড়ান শুরু করে। রাশিয়ার ভয় ছিল, চিনা যুদ্ধবিমানের সঙ্গে টক্করে তাদের ফিফথ জেনারেশন ফাইটার জেটগুলির দাম কমে যাবে। তবে এখন আর সেই আশঙ্কা রইল না। রাশিয়া ও চিনের সম্পর্ক যে ক্রমশ দৃঢ় হচ্ছে, এই ঘটনাই তার প্রমাণ। ঝুহাই এয়ার শোয়ে জে-২০ দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে।

Advertisement

শেষ পর্যন্ত, গতবছরের নভেম্বর মাসে জে-২০ প্রকাশ্যে আনে বেজিং। এটি এমনই ফাইটার জেট যা রেডারেও ধরা পড়ে না। ভারতের পক্ষে এই বিমান খুবই উদ্বেগের কারণ। এমনকী, চিনের জে-২০ আমেরিকার কপালেও ভাঁজ ফেলে। বিশ্বের দ্বিতীয় দেশ হিসেবে স্টেলথ যুদ্ধবিমান তৈরি করে চিন। এই যুদ্ধবিমানের মারণ ক্ষমতা অনেক বেশি। বিমানে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা যায়। চিন ছাড়া একমাত্র আমেরিকার হাতেই এ ধরনের স্টেলথ যুদ্ধবিমান রয়েছে।

Advertisement

রাশিয়া ও ভারতের মতো বিভিন্ন দেশ পঞ্চম প্রজন্মের যুদ্ধবিমানের স্তরেই রয়েছে। এই বিমানগুলি শত্রুপক্ষের রেডারে ধরা পড়ে। রেডার থেকে পাঠানো তরঙ্গ ওই বিমানগুলিতে পৌঁছয়, সেখান থেকে তা ফিরে আসে রেডারে। ফলে সংশ্লিষ্ট বিমানের অবস্থান, গতি ও উচ্চতা সম্পর্কে জানা যায়। কিন্তু স্টেলথ বিমানে রেডারের এই প্রযুক্তি কাজ করে না। এই বিমান নির্মাণের প্রযুক্তি গোপন থাকে। এর বিমানের দেহ বা বডি এক গোপন মিশ্র ধাতু দিয়ে তৈরি। এর আকারও সাধারণ বিমানের তুলনায় একেবারেই আলাদা। এর ফলে রেডার থেকে পাঠানো তরঙ্গ হয় রাস্তা বদলে অন্য দিকে চলে যায়, নতুবা বিমানের বডির ধাতু ওই তরঙ্গ শুষে নেয়। এর ফলে রেডার এড়িয়ে শত্রুপক্ষের ওপর হামলা চালাতে পারে স্টেলথ যুদ্ধবিমান।

বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, ওবামার শাসনকালে আমেরিকা ও রাশিয়ার সম্পর্ক তলানিতে নেমে এসেছিল। কিন্তু ট্রাম্প হোয়াইট হাউসের দখল নেওয়ার পর রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্কের ক্রমশই উন্নতি হচ্ছে। যার জেরে মার্কিন-রুশ সম্পর্কও ভবিষ্যতে আরও দৃঢ় হবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর ঠিক এরই আশঙ্কা করছে চিন। কারণ, আমেরিকা ও রাশিয়া এক হয়ে গেলে চিনের দুর্গতির শেষ থাকবে না। তাই চিন এখন চায়, যে কোনও উপায়ে রাশিয়ার ঘনিষ্ঠ হয়ে থাকতে। যার জেরেই রুশ বিমানগুলি পেতে তৎপর হয় বেজিং। রাশিয়াও সুযোগ বুঝে দাম না কমিয়েই চারটি বিমান সরবরাহ করল চিনকে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ