BREAKING NEWS

২৩ জ্যৈষ্ঠ  ১৪৩০  বুধবার ৭ জুন ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

মন্দিরের ১২টি শিবলিঙ্গ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল দুর্বৃত্তরা, এলাকায় চাঞ্চল্য

Published by: Sangbad Pratidin Digital |    Posted: May 28, 2017 2:22 pm|    Updated: May 28, 2017 2:22 pm

Shiva temple Vandalised by goons in bangladesh sparks tension

সুকুমার সরকার, ঢাকা: বাংলাদেশের জয়পুরহাট জেলার বেল আমলা বারো শিবালয় মন্দিরের শিবলিঙ্গসহ অন্যান্য স্থাপত্য ভেঙে গুঁড়িয়ে দিল দুর্বৃত্তরা। গত শুক্রবার রাতে এই ঘটনাটি ঘটেছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় তীর্থস্থান এই মন্দিরের ১২টি শিবলিঙ্গ ভাঙচুর করা হয়েছে। কোনও কোনও শিবলিঙ্গে আবার দাহ্য পদার্থ ঢেলে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। মূল মন্দিরের মাঝে রাখা গরুর মূর্তিটিও ভাঙচুর করা হয়। এছাড়া তুলসী বেদী, হনুমান মন্দির, কালী মন্দিরেও হামলা চালানো হয়েছে।

[প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে জয়সূর্যর ‘সেক্স টেপ’ ফাঁস নেটদুনিয়ায়!]

এই ঘটনার পরেই স্থানীয় সংখ্যালঘুদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। মন্দিরের পুরোহিত সেতু মহন্ত জানান, শনিবার সকাল ৬টার দিকে পূজার জন্য তিনি বারো শিবালয়ে যান। এই সময় মূল মন্দিরের গেটে এসে দুটি গেটেই অতিরিক্ত তালা ঝোলানো দেখেন। গেটের বাইরে থেকে মন্দিরে ভাঙচুরের ব্যাপারটি লক্ষ্য করেই মন্দির কর্তৃপক্ষকে খবরটি জানান। এরপরেই মন্দির কর্তৃপক্ষই পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে দুর্বৃত্তদের লাগানো তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে এই ধ্বংসযজ্ঞ দেখে। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই অনেকেই মন্দিরে ভিড় করেন। এমনকী ঘটনার প্রতিবাদে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন মন্দির প্রাঙ্গণে প্রতিবাদ সমাবেশেরও আয়োজন করে। আগামী সোমবার শহরের পাঁচুর মোড়ে সভা করে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলেও জানা গিয়েছে।

[মাত্র ১২ বছর বয়সেই বিশ্ব সুন্দরী প্রতিযোগিতার মঞ্চে এই ভারতীয় কিশোরী]

প্রতিবাদীদের মধ্যে একজন বলেন, “৫০০ বছর আগে প্রতিষ্ঠিত এই বারো শিবালয় মন্দিরে ৭১ সালেও কেউ হাত দেয়নি। অথচ এখন সেই মন্দিরেই ভাঙচুর চালানো হলো। মন্দিরে শিবলিঙ্গ নতুন করে প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত এখানে পূজা-অর্চনা হবে না।” উল্লেখ্য, বারো শিবালয় মন্দিরে স্থাপিত ১২টি শিবলিঙ্গের এমন দর্শনীয় মন্দির দেশের কোথাও নেই। এটি দেখার জন্য বহু পর্যটক এখানে আসেন। ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য সামছুল আলম দুদু, জেলা প্রশাসক মোঃ মোকাম্মেল হক, পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান রকেট ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। পুলিশ সুপার রশীদুল হাসান বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের খুঁজে বের করে দ্রুত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের জয়পুরহাট শাখার সভাপতি নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল, সাধারণ সম্পাদক রতন কুমার খাঁ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দোষীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছেন।

[কারফিউ উপেক্ষা করে সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে পরীক্ষার্থীদের ঢল শ্রীনগরে]

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে