Advertisement
Advertisement
Philippines University Shooting

ফিলিপিন্সে কলেজের সমাবর্তনে জঙ্গি হামলা, গুলি লেগে মৃত অন্তত তিন

আটক করা হয়েছে অভিযুক্তকে।

Shooting at top Phillppines university, at least three died | Sangbad Pratidin

ছবি:প্রতীকী

Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:July 24, 2022 8:12 pm
  • Updated:July 25, 2022 9:04 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বন্দুকবাজের হানায় প্রাণ হারালেন তিনজন। কলেজের সমাবর্তন অনুষ্ঠান চলাকালীন ঢুকে পড়ে এলোপাথাড়ি গুলি চালায় বন্দুকবাজ। জানা গিয়েছে, আহত অবস্থায় বন্দুকবাজকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার কাছ থেকে দু’টি পিস্তলও উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, আগে থেকে পরিকল্পনা করেই এই হামলা করা হয়েছিল।

রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে ফিলিপিন্সের (Philippines) রাজধানী ম্যানিলাতে। সেদেশের অন্যতম নামী ল কলেজ আতেনিও দে ম্যানিলায় সমাবর্তন অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন পড়ুয়ারা। তাদের মধ্যে ছিলেন দেশের প্রধান বিচারপতি-সহ অন্যান্য স্বনামধন্য ব্যক্তিত্বরা। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন লামিটান শহরের প্রাক্তন মেয়র রোজ ফুরিগে। মেয়ের সমাবর্তনে যোগ দিতে গিয়েছিলেন তিনি। আততায়ীর গুলিতে মৃত্যু হয় তাঁর। পুলিশের ধারণা, তাঁকে হত্যা করতেই হামলা চালিয়েছিল আততায়ী (Gunman)। সেই সঙ্গে গুলি লেগে মৃত্যু হয়েছে কলেজের এক নিরাপত্তারক্ষী এবং আরেক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির।

Advertisement

[আরও পড়ুন: চুক্তিভঙ্গ করে ইউক্রেনের বন্দরে হামলা পুতিনের, আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র নিন্দার মুখে মস্কো]

গুলি চালানোর ঘটনা টের পেয়েই সতর্ক হয়ে যায় নিরাপত্তা রক্ষীরা। আততায়ীকে আটকাতে পালটা গুলি চালায় তারা। কিন্তু গাড়ি চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় আততায়ী। তাকে তাড়া করে ধরে ফেলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। স্থানীয় পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, আপাতত হেফাজতে রয়েছে আততায়ী। জানা গিয়েছে, আততায়ী কট্টর ইসলামপন্থী নেতা আবু সায়াফের ঘনিষ্ঠ। নানা অসামাজিক কাজের জন্য কুখ্যাত এই নেতা। জেরায় আরও জানা গিয়েছে, সমাবর্তন অনুষ্ঠানে আততায়ীর কোনও আত্মীয় যোগ দেয়নি। তাই পুলিশ নিশ্চিত, পরিকল্পনা করেই হামলা চালানো হয়েছে।

Advertisement

হামলার পরে সমাবর্তন অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট ফার্ডিনান্ড মার্কোস জুনিয়র। ঘটনার বিশদ তদন্ত করে সুবিচারের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, আমেরিকার মতো ফিলিপিন্সেও আগ্নেয়াস্ত্র বেশ সহজলভ্য। পারমিট থাকলেই অস্ত্র রাখতে পারেন সাধারণ মানুষ। তবে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে নিযুক্ত ব্যক্তিরা সবসময়েই আগ্নেয়াস্ত্র রাখেন। এমনকী, শপিং মল বা স্কুলের মতো জায়গাতেও বন্দুক রাখেন নিরাপত্তারক্ষীরা।

[আরও পড়ুন: ঋণে ডুবেছে পাকিস্তান, দেশীয় সম্পদ বিদেশে বিক্রি করতে নয়া অর্ডিন্যান্স আনল শরিফ সরকার]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ