সুকুমার সরকার, ঢাকা: মালদহ সীমান্ত সংলগ্ন বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা গরু চোরাকারবারীদের স্বর্গরাজ্য। প্রায় প্রতিরাতেই সীমান্তের বিভিন্ন চোরাপথ দিয়ে ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ গরু ঢোকে বাংলাদেশে। সামনেই ইদ। তাই এখন বাজারে গরুর চাহিদা তুঙ্গে। বাজারে গরুও আসছে প্রচুর পরিমাণে। আর এই গরু কেনা-বেচাকে কেন্দ্র করেই বুধবার রঘুনাথপুর সীমান্তে ব্যাপক বোমাবাজি চলে। ঘটনায় অন্তত ২০ জন রাখাল আহত হয়েছেন। এঁদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর।
ভারতের গরু দখল ও চাঁদাবাজি ঘিরেই বুধবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিবেশ। সকাল সাড়ে ১১টায় রঘুনাথপুর খাটালের মালিক সশস্ত্র ক্যাডার বকুল ও নাসিরের নেতৃত্বে একদল দুষ্কৃতী বেপরোয়া বোমাবাজি চালায়। আহতদের শিবগঞ্জ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, বুধবার সকালে ওই এলাকার রাখালরা সীমান্ত এলাকা থেকে ভারতের গরু নিয়ে আসতে চায়। তবে এতে খাটাল মালিক রাজি হননি। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের মধ্যের শুরু হয় বচসা। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যখন খাটাল মালিক এবং বকুল ও নাসির বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।
শুধু তাই নয়, দুষ্কৃতীরা আতঙ্ক ছড়াতে রাখালদের বাড়িতে ঢুকে ব্যাপক বোমাবাজি চালায়। খাটালের পার্শ্ববর্তী খাকচাপাড়া, গাইপাড়া, হঠাৎপাড়া গ্রামের বাসিন্দারা ভয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যান। স্থানীয় রাখালরা জানান, খাটাল মালিক খালেক জামাতের ক্যাডার। তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে। খাটালটি চালু হওয়ার পর খালেক শহর থেকে শতাধিক রাখাল ও ক্যাডার ভাড়া করে খাটালে পাহারা বসায়। স্থানীয় রাখালদের বাদ দিয়ে ভাড়া করে আনা রাখালদের দিয়ে সীমান্ত থেকে গরু আনার কাজ করে। স্থানীয় রাখালরা গরু আনার দাবি জানানোই তাঁদের উপর হামলা করা হয়। এলাকাবাসী আরও জানায়, খাটাল মালিকের সশস্ত্র ক্যাডাররা গরু থেকে বেপরোয়া চাঁদাবাজি করছে। কিন্তু কেউ প্রতিবাদ জানালেই তাদের ওপর হামলা করা হচ্ছে। এর আগে গত রবিবার হামলায় অন্তত ১০ জন আহত হন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.