Advertisement
Advertisement

শ্রীলঙ্কায় লঙ্কাকাণ্ড, এবার রাজাপক্ষেকে হুঁশিয়ারি সংসদের অধ্যক্ষের

লঙ্কার রাজনৈতিক ডামাডোলে উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি।

Sri Lanka speaker slams Rajapakse
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:November 5, 2018 6:13 pm
  • Updated:November 5, 2018 6:13 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজাপক্ষের উত্থান নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড শ্রীলঙ্কার রাজনীতিতে। এবার ডামাডোলে যোগ দিলেন দ্বীপরাষ্ট্রের সংসদের অধ্যক্ষ। তিনি সাফ জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী পদে কোনওমতেই মাহিন্দা রাজাপক্ষকে মেনে নেওয়া হবে না। ওই পদ পেতে গেলে রাজাপক্ষকে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে।   

[শরণার্থীদের উপর গুলি চালানোর নির্দেশ, ট্রাম্পকে আক্রমণ ওবামার]

Advertisement

সোমবার, প্রেসিডেন্ট মৈথিরিপালা সিরিসেনার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন শ্রীলঙ্কার সংসদের অধ্যক্ষ কারু জয়সূর্য। রাজাপক্ষের উত্থান ও সংসদে আনা বদলকে সম্পূর্ণরূপে অসাংবিধানিক বলে দাবি করেন তিনি। এদিন জয়সূর্য সাফ জানান, প্রধানমন্ত্রী হতে গেলে সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে রাজাপক্ষকে। উল্লেখ্য, আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত সংসদ মুলতবি রেখেছেন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা। ফলে এই মুহূর্তে আস্থাভোট হওয়ার সম্ভাবনা নেই। রাজনীতিবিদদের একাংশের মতে, বেশিরভাগ সাংসদই সদ্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী  রনিল বিক্রমসিংহের পক্ষেই। তাই আস্থাভোট চাইছেন না প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা। এদিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সংসদ বন্ধ রাখা যাবে না। ফলে সমর্থন জোটাতে মাঠে নেমে পড়েছে দুই শিবির।

Advertisement

সিরিসেনার বৃহত্তর রাজনৈতিক জোট ‘ইউনাইটেড পিপলস্‌ ফ্রিডম অ্যালায়েন্স’। প্রধানমন্ত্রী হন বিক্রমসিংহে। কিন্তু গত মাসে জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসে সিরিসেনার দল। তারপরই রাজাপক্ষেকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন সিরিসেনা। একসময় শ্রীলঙ্কার বর্তমান প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষে মন্ত্রিসভার মন্ত্রী ছিলেন।  প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য তিনি রাজাপক্ষের সঙ্গ ত্যাগ করেন। তবে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, রাজাপক্ষেকে প্রধানমন্ত্রী পদে বসানোয় দেশে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হতে পারে। কারণ, সংবিধানের ১৯-তম সংশোধনী অনুযায়ী সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছাড়া প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমসিংহেকে অপসারণ করা যায় না। বিক্রমসিংহের আসন সংখ্যা ১০৬ , অন্যদিকে রাজাপক্ষে ও সিরিসেনার সম্মিলিত আসন সংখ্যা মাত্র ৯৫।

এদিকে লঙ্কার রাজনৈতিক ডামাডোলে উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি। চিনের সঙ্গে দহরম-মহরম রয়েছে দ্বীপরাষ্ট্রের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রাজাপক্ষের। অন্যদিকে, বিক্রমসিংহে ভারতপন্থী। বর্তমান রাষ্ট্রপতি সিরিসেনার সঙ্গেও সম্পর্ক মজবুত দিল্লির। ২০১৪-এ রাজাপক্ষের ক্ষমতা হারানোর নেপথ্যে অনেকটাই হাত ছিল ভারতের। ফলে এবার রাজাপক্ষের ক্ষমতায় ফিরে আসা দিল্লির পক্ষে অশনিসংকেত বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

[সমুদ্র থেকে হঠাৎই হারিয়ে গেল আস্ত একটি দ্বীপ!]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ