Advertisement
Advertisement
Syria war

রাসায়নিক হামলায় সিরিয়ায় মৃত অন্তত ৭০, কাঠগড়ায় আসাদবাহিনী

রইল ভিডিও। তবে ভিডিওটি দুর্বল হৃদয়ের মানুষদের জন্য নয়।

Syria war: At least 70 killed in suspected chemical attack in Douma
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:April 8, 2018 2:22 pm
  • Updated:June 8, 2019 3:36 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাসায়নিক হামলায় পূর্ব সিরিয়ায় মৃত্যু হল অন্তত ৭০ জনের। বিদ্রোহীদের কবলে থাকা দওমা শহরে এই হামলা চালানো হয়। উদ্ধারকার্য বাহিনী ‘হোয়াইট হেলমেট’ জানিয়েছে, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। তাদের দাবি, সেনা হেলিকপ্টার থেকে ব্যারেল বোমায় টক্সিক নার্ভ এজেন্ট ‘সারিন’ পুরে আকাশ থেকে মাটিতে ফেলা হয়। বোমাটি বিদ্রোহীদের গোপন ঘাঁটিতে ফেলা মাত্রই বিষাক্ত গ্যাসের ছোবলে মুহূর্তে কয়েক হাজার মানুষ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাঁদের মধ্যে অল্প কয়েকজনকেই এখনও পর্যন্ত হাসপাতালে পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে। দামাস্কাস গ্রামীণ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ৭০ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে বিবিসির কাছে।

[রেস্তরাঁর বাইরে ২ জনকে পিষে মেরে আত্মঘাতী চালক]

কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা কর্তৃক প্রকাশিত ছবিতে দেখা যাচ্ছে, ওই গোপন ঘাঁটিতে বহু শিশু, মহিলা ও পুরুষের মৃতদেহ এখনও পড়ে রয়েছে। অনেককে এখনও চিহ্নিতই করা যায়নি। সিরীয় সরকার অবশ্য এই হামলাকে রাসায়নিক হামলা বলতে রাজি নয়। কিন্তু মার্কিন গোয়েন্দারা সে দাবি উড়িয়ে বলছেন, ক্ষমতাসীন আসাদ সরকার রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগ করে বিদ্রোহীদের গোপন ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে কয়েকশো শিশু ও মহিলাকে। মার্কিন গোয়েন্দাদের অভিযোগ, হামলার পিছনে রুশ সরকারের প্রত্যক্ষ সমর্থন রয়েছে। সিরিয়া সরকার এই হামলার দায় এড়াতে পারে না বলে সতর্ক করে দিয়েছে আমেরিকা। এক বিবৃতিতে মার্কিন সেনা জানিয়েছে, এই একই ধাঁচে এর আগেও সিরিয়া নিজের দেশের মানুষের উপরেই হামলা চালিয়েছে।

 

[চিনা ইঞ্জিনিয়ারদের হাতে বেধড়ক মার খেলেন পাক পুলিশকর্মীরা, ভাইরাল ভিডিও]

একাধিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও নজরদারি কমিটি এই হামলার তীব্র নিন্দা করেছে। কিন্তু মৃতের সংখ্যা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছে না। হোয়াইট হেলমেটের কর্তাদের অনুমান, মৃতের সংখ্যা ১৫০ জনেরও বেশি। মতভেদে, মৃতের সংখ্যা ১০০০ ছাড়িয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ দেহই ওই ঘাঁটি থেকে উদ্ধার করা যাচ্ছে না। সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যে চলা তীব্র সংঘর্ষে উদ্ধারকার্য ব্যাহত হচ্ছে। হাসপাতালে নিয়ে গেলে আহতদের মুখ থেকে গ্যাঁজলা বেরোতে দেখা যায়। চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন, ক্লোরিন বা অন্য কোনও বিষাক্ত নার্ভ গ্যাস ছাড়া এভাবে কারও দেহে বিষ ঢুকতে পারে না। যদিও সিরিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থার দাবি, বিদ্রোহীদের দমনপীড়নের খবর ঢাকতেই জইশ আল-ইসলাম নিয়ন্ত্রিত সংবাদ সংস্থা রাসায়নিক হামলার ভুয়ো খবর ছড়াচ্ছে। তবে সিরিয়ার আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে রাসায়নিক গ্যাস ব্যবহারের অভিযোগ নতুন নয়। ২০১৩ থেকে তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহীদের উপর মারণ গ্যাস প্রয়োগের অভিযোগ রয়েছে।

রইল ভিডিও। তবে ভিডিওটি দুর্বল হৃদয়ের মানুষদের জন্য নয়। ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি ‘সংবাদ প্রতিদিন’ ডিজিটাল।

 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ