সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দৃশ্যমানতা কম। থেমে গেল বিমান। আকাশপথে এমন অভিজ্ঞতা যাত্রীদের কম-বেশি রয়েছে। তবে গন্তব্যের থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার আগে যদি আপনাকে বলা হয় প্লেন থেকে নেমে যেতে আর নিজের গরজে বাকি রাস্তাটা বুঝে নিতে, তবে? এমন শুনলে মাথাটা নিশ্চয়ই গরম হবে। এই আজব ঘটনা আর কোথায় ঘটবে? উত্তরটা পাকিস্তানই।
[ OMG! বিশ্বের সবচেয়ে দামী পিজ্জার দাম ৭৭ লক্ষ টাকা! ]
সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর আবুধাবি থেকে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের বিমানে উঠেছিলেন যাত্রীরা। তাদের গন্তব্য ছিল লাহোর। কিন্তু মুলতানের কাছে বিমানটি সমস্যায় পড়ে। দৃশ্যমানতা কম থাকায় বিমান না চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। মুলতান বিমানবন্দরের কাছে প্লেনটি থেমে যায়। বিমানকর্মীরা যাত্রীদের বিমান থেকে নেমে যাওয়ার নির্দেশ দেন। বাসে করে গন্তব্যর দিকে যাওয়ার পরামর্শ দেন। আর এতেই বাধে বিপত্তি। যাত্রীরা স্পষ্ট করে দেন তারা বিমান থেকে নামবেন না। কারণ যেখানে তাঁদের নামানোর কথা বলা হয় তা গন্তব্যের থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার আগে। বিশাল রাস্তা কেন তারা বাসে যাবেন এই নিয়ে প্রশ্ন করেন যাত্রীরা। তাঁরা আসন না ছাড়ায় কর্তৃপক্ষ বিমানের এসি বন্ধ করে দেয় বলে অভিযোগ। যার জেরে বয়স্ক এবং শিশুরা বেজায় সমস্যায় পড়েন। অতঃপর প্লেন থেকে নামলেও অনেক যাত্রী ঠায় দাঁড়িয়েছিলেন। বিমানকর্মীদের প্রতি তারা বিষোদ্গার করতে থাকেন। শেষপর্যন্ত অন্য গাড়ির ব্যবস্থা করে যাত্রীদের লাহোরের দিকে যেতে হয়।
[ পোশাকের ভিতর পোকা? আতঙ্কে ক্যামেরার সামনে কী কাণ্ড করলেন সঞ্চালিকা! ]
তবে এত কাণ্ডের পরও পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্স কোনওরকম ক্ষমা চায়নি। এমনকী যাত্রার বাকি অংশের অর্থ নিয়েও তারা কোনওরকম কথা বলতে অস্বীকার করেছে। এসি বন্ধ করে দিয়ে যাত্রীদের সঙ্গে এমন অমানবিক আচরণ নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। তবে পাকিস্তানে আকাশপথে সফরের যন্ত্রণার ঘটনা নতুন কিছু নয়। মাস কয়েক আগে পাকিস্তানের সরকারি সংস্থার এক বিমানে নির্দিষ্ট সংখ্যার থেকে বেশি যাত্রী তোলা হয়েছিল। যার নিয়ে হয়েছিল বিস্তর সমালোচনা। করাচিগামী বিমানের ঘটনা বুঝিয়ে দিল পাকিস্তানের যত লম্ফঝম্প ভারত নিয়ে, নিজের চরকায় তেল দেওয়ার সময় নেই।