সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তালিবান (Taliban) আছে তালিবানেই। নতুন করে আফগানিস্তান (Afghanistan) দখল করার পর জেহাদিরা দাবি করেছিল দু’দশকে তারা অনেক বদলে গিয়েছে। এই দাবি যে কেবলই আন্তর্জাতিক আঙিনায় নিজেদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার চেষ্টা, তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে। তালিবান নির্যাতনের চেনা ছবি ফের দেখা যাচ্ছে আফগানিস্তানে। আর এবার গজনি (Ghazni) প্রদেশের প্রবেশদ্বার ভেঙে দিয়ে তালিবান বুঝিয়ে দিল, এতটুকুও পরিবর্তন হয়নি তাদের।
২০০১ সালে তৎকালীন তালিবান নেতা মোল্লা ওমরের নির্দেশে বামিয়ানের বুদ্ধমূর্তি ভেঙে দিয়েছিল তালিবান। এবার গজনি প্রদেশের প্রবেশদ্বার ভেঙে দিল তারা। ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে তাদের ‘কীর্তি’র ভিডিও। তাতে দেখা গিয়েছে, ক্রেনের সাহায্যে ধাক্কা দিয়ে ভেঙে ফেলা হচ্ছে ওই প্রবেশদ্বার। প্রায় কয়েক মুহূর্তেই ভেঙে টুকরো হয়ে যাচ্ছে স্থাপত্যটি।
The gate of Ghazni province which was built for the glory of the civilization of the Islamic world was destroyed by the Taliban .@UN @UNICEF@UNAMAnews pic.twitter.com/YFIzyaYYxa
— Hassib Haidar 🇦🇫 (@hassib_haidar) August 23, 2021
[আরও পড়ুন: Afghanistan Crisis: তালিবানের সঙ্গে কাজ করতে আপত্তি নেই, British PM-এর মন্তব্যে বাড়ছে জল্পনা]
এতদিন আফগানিস্তানের প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা আশরফ ঘানি সরকারই তৈরি করেছিল ওই প্রবেশদ্বার। ইসলামীয় পরম্পরা ও সংস্কৃতির প্রতীক ধরা হত গজনির প্রবেশদ্বারকে। ক্ষমতায় এসেই তা ভেঙে ফেলল তালিবান। এখানেই শেষ নয়। কয়েক দিন আগেই বামিয়ানে হাজারা নেতা আবদুল আলি মাজারির মূর্তি ভেঙে ধূলিসাৎ করে দিয়েছে জেহাদিরা। ১৯৯৫ সালে ওই নেতাকে খুন করেছিল তালিবান জঙ্গিরা। এবার ক্ষমতায় ফিরেই মূর্তিটি ভেঙে দিল তারা।
আফগানিস্তান থেকে মার্কিন সেনা সরতে শুরু করার পর থেকেই দ্রুত দেশের দখল নিতে থাকে তালিবান। গত ১৫ আগস্ট তারা কাবুলে ঢুকে পড়ে। এরপরই দেশের প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি পালিয়ে যান কাবুল ছেড়ে। তিনি দেশ ছাড়ার পর আফগানিস্তানের শাসক হয়ে উঠেছে তালিবান। এই পরিস্থিতিতে সাধারণ আফগানদের মনে ভয় ক্রমশই বাড়ছে। ইতিমধ্যে শুরুও হয়ে গিয়েছে তালিবানি তাণ্ডব। বাড়ি বাড়ি গিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে জেহাদিরা। এই ধরনের ঘটনা থেকেই পরিষ্কার, একটুও বদলায়নি তালিবান। মাঝের দু’দশকের ব্যবধানেও কোনও পরিবর্তন হয়নি। তালিবান আছে তালিবানেও।