Advertisement
Advertisement
China

১৬ ঘণ্টার বৈঠক মলডোতে, দেপসাং-গোগরা থেকেও সেনা প্রত্যাহার করবে চিন!

এই নিয়ে দশম দফার বৈঠক সারলেন ভারত-চিনের সেনা আধিকারিকরা।

Tenth round of Corps commander level talks between India & China lasted for 16 hours | Sangbad Pratidin
Published by: Abhisek Rakshit
  • Posted:February 21, 2021 9:26 am
  • Updated:February 21, 2021 1:43 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর সমস্যা মেটাতে এবং সেনা প্রত্যাহার নিয়ে ফের বৈঠক করলেন ভারত (India) ও চিনের (China) শীর্ষ সেনা আধিকারিকরা। দীর্ঘ ১৬ ঘণ্টা ধরে আলোচনার পর সমস্যার পুরোপুরি সমাধান না হলেও, বৈঠক যে ইতিবাচক, সেই ইঙ্গিত মিলেছে সেনা সূত্রে।

 

Advertisement

সকাল ১০টা থেকে রাত ২টো। সীমান্ত সমস্যা মেটাতে শনিবার ভারত ও চিনের শীর্ষ সেনা আধিকারিকদের দশম দফার বৈঠক চলল এক টানা ১৬ ঘণ্টা। চুশুল সেক্টরে নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে মলডোতে (Moldo) আয়োজিত এই বৈঠকে দেপসাং ভ্যালি, গোগরা হাইটস, হট স্প্রিং-সহ একাধিক জায়গায় সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করল দু’দেশ। এর আগে প্যাংগং হ্রদ (Pangong Tso) নিয়ে দীর্ঘদিন বিবাদ চলে ভারত-চিনের। দু’দেশের মধ্যে ৯ দফা আলোচনার পর সম্প্রতি সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে প্রত্যেকেই।

ভারতীয় সেনা সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA) তাদের বিপুল সংখ্যক সেনা, শয়ে শয়ে ট্যাঙ্ক ও সাঁজোয়া গাড়ি, হাউৎজার সরিয়ে নিয়েছে। প্যাংগং হ্রদ লাগোয়া আট নম্বর ফিঙ্গার পয়েন্টের কাছে সরানো হয়েছে চিনের সব ট্যাঙ্ক, হাউৎজার কামান। তবে পরিস্থিতির উপর প্রতি মুহূর্তে কড়া নজর রাখছে ভারতীয় সেনার উপরমহল। সেই মতো পদক্ষেপ ও কৌশল বদলাচ্ছেন তাঁরাও। আর প্যাংগংয়ের পরই এবার অন্যান্য বিবদমান এলাকা নিয়ে আলোচনায় বসল দু’দেশ। এই জায়গাগুলো থেকেও চিন সেনা প্রত্যাহার শুরু করে কি না সেটাই এখন দেখার। 

[আরও পড়ুন: লালফৌজের বুকে কাঁপন ধরাবে ভারতীয় সেনা, লাদাখে অতন্দ্র পাহারায় K-9 বজ্র কামান]

প্রসঙ্গত, চিনের সঙ্গে প্রায় সাড়ে তিন হাজার কিলোমিটার সীমান্ত (LAC) ভাগ করে নিয়েছে ভারত। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার বেশ কিছু জায়গায় ভারতের জমি দখল করে রেখেছে চিনা বাহিনী। কিন্তু সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র প্যাংগং হ্রদ সংলগ্ন এলকাতেই সীমিত ছিল। এবার লাদাখের দেপসাং সমতল, গোগরা-হটস্প্রিং নিয়েও আলোচনা শুরু হল।

এদিকে, সম্প্রতিই গালওয়ান সংঘর্ষের ভিডিও প্রকাশ করেছে চিন। পাশাপাশি পাঁচ জন জওয়ানের মৃত্যুর কথাও স্বীকার করে নিয়েছে তারা। কিন্তু বেজিংয়ের অভিযোগ, এই খবরের মাধ্যমেই ফের একবার সীমান্তে অশান্তি তৈরি করতে চাইছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলি। পাশাপাশি শান্তিপূর্ণ সেনা প্রত্যাহারেও বাধা তৈরি করছে তারা। 

 

[আরও পড়ুন: ‘সাধারণ মানুষ তো গাড়ি চড়েন না’, পেট্রলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে আজব যুক্তি বিজেপির মন্ত্রীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement