Advertisement
Advertisement

মসজিদের টাকা চুরি, অভিযুক্তর সাফাই শুনে হতবাক জনতা!

অভিযুক্তর চিঠি পড়ে রাগ গলে জল।

This is what a thief did after sweeping a mosque clean in Pakistan
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:June 24, 2017 4:55 pm
  • Updated:June 25, 2017 3:28 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অভাবে স্বভাব নষ্টের কথা অনেকের জানা। তা বলে দুর্ব্যবহারেও মানুষের স্বভাব খারাপ হয়? এমন নজির দেখা গেল পাকিস্তানে। মসজিদ থেকে প্রণামী বাক্স ও ব্যাটারি হাতিয়ে চুরি করে থামা নয়। কেন চুরি, চিঠি লিখে তার ব্যাখ্যাও দিয়েছে অভিযুক্ত। তার দাবি সে গরিব। ৫০ হাজার চুরি করার জন্য অন্যদের হইচইয়ের দরকার নেই। কারণ বিষয়টি তার ও আল্লাহর মধ্যেকার ব্যাপার। সে তো কারও বাড়ি থেকে টাকা চুরি করেনি। ঈশ্বরের থেকে নিয়েছে। অন্যদের তাই এর মধ্যে না ঢোকাই ভাল। সব শেষে অভিযুক্ত চিঠিতে জানায় মৌলবীর খারাপ ব্যবহারের জন্য তাকে এই কাজ করতে হয়েছে।

[জানেন, সপ্তাহে কতবার খান এই দম্পতি?]

রমজান মাস শেষের দিকে। দুনিয়া জুড়ে ইদের প্রস্তুতি। উৎসবের আনন্দ পাকিস্তানের দক্ষিণ পাঞ্জাবে আচমকা ছন্দহীন হয়ে পড়ল। ওই এলাকার জামিয়া মসজিদ বহু পুরনো। গত শুক্রবার জুম্মাবারে গিয়ে দর্শনার্থীদের মধ্যে হইচই পড়ে যায়। তাঁরা জানতে পারেন মসজিদে থাকা দুটি প্রণামীর বাক্স উধাও। এমনকী ইনভার্টারের একটি ব্যাটারিও হাওয়া। দুটি বাক্সে ছিল প্রায় ৫০ হাজার পাকিস্তানি টাকা। এই ঘটনায় অনেকে হতাশ হয়ে পড়লেও, মসজিদে পাওয়া একটি চিঠিতে তাদের মেজাজ বদলে যায়। চুরির পর অভিযুক্ত একটি চিঠি লিখে রেখে যায়। যে চিঠির পরতে পরতে রয়েছে মোচড়।

Advertisement

[OMG! রতিসুখ পেতে এ কী করলেন যুবক?]

চিঠিতে অভিযুক্ত লেখে, বিষয়টি তার আর ভগবানের মধ্যে ব্যাপার। অন্য কারও এই নিয়ে নাক গলানোর দরকার নেই। সুতরাং, কারও তাকে খোঁজারও দরকার নেই। আত্মপক্ষ সমর্থনে অভিযুক্ত জানায় সে খুবই অভাবী। চিঠিতে তারা সংযোজন, এর আগে একবার সে ওই মসজিদে গিয়েছিল। সেসময় তার খুব খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছিল। মসজিদের ধর্মগুরু কোয়ারি সইদের কাছে সাহায্য চাইলে তাকে বের করে দেওয়া হয়। সাহায্য করতে অস্বীকার করায় বাধ্য হয়ে মসজিদে গিয়ে চুরি করে ওই অভিযুক্ত।

Advertisement

নিজেক বাঁচাতে অভিযুক্ত আরও জানায় সে কারও বাড়িতে চুরি করেনি। ঈশ্বরের বাড়িতে সে এই কাজ করেছে। তাই বিষয়টি একান্ত দুজনের বিষয়। চিঠিটি পড়ার পর স্থানীয়দের রাগ পড়ে যায়। মসজিদের মৌলবীকে অভিযুক্তকে ক্ষমা করে দেওয়ার আবেদন জানান তারা। মসজিদের চুরি যাওয়া ব্যাটারিও স্থানীয়রা চাঁদা তুলে কিনে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তবে মসজিদের মৌলবী অনড়। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার এবং শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি। তবে তাঁর কাছে সাহায্য চাওয়ার বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে ওই ধর্মগুরু মন্তব্য করতে চাননি। গত বছর রমজানের সময় পাকিস্তানে অনেকটা এমন ঘটনা ঘটেছিল। কলের ট্যাপ চুরি করে একই কায়দায় চিঠি লিখেছিল এক অভিযুক্ত। সাফাই দিতে গিয়ে অভিযুক্ত জানিয়েছিল তার আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ। হাল ফিরলে সে ওই অর্থ ফিরিয়ে দেবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ