Advertisement
Advertisement

Breaking News

বুলেটের ঝুঁকি নিয়েই সিরিয়ার শিশুদের মুখে হাসি ফোটান ইনি

দুটো খেলনা বাচ্চাদের হাতে তুলে দিয়ে তাদের আনন্দে যে প্রশান্তি তিনি পান তার তুলনা আর কোথাও নেই৷ আর তাই বুলেট এড়িয়েই বারবার ছুটে যান৷

This Man risks his life to ferry toys for the children of syria
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:September 27, 2016 4:05 pm
  • Updated:September 27, 2016 4:05 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আঙ্কল টয় এসেছে… মুখে মুখে রটে যায় বার্তা৷ খুব দ্রুত৷ অন্ধকার ঘরে যেন তা এক চিলতে রোশনাই৷ মুহূর্তে যেন আনন্দে ঝলমলে গোটা পাড়া৷ হাওয়ায় হাওয়ায় তাঁর আসার কথা ছড়িয়ে পড়া মাত্র একে একে জমা হতে থাকে বাচ্চারা৷ তাঁর ঝাঁপি তো স্রেফ খেলনার নয়, আনন্দেরও৷

এ খুব চেনা খেলনাওয়ালার দৃশ্য বটে৷ তবে এ দৃশ্যের প্রেক্ষাপট যখন সিরিয়া, তখনই বদলে যায় দৃশ্যের গুরুত্বও৷ হ্যাঁ, যে সিরিয়া যুদ্ধবিধ্বস্ত, যেখানে শৈশব নিতান্ত অভিশাপের মতো, সেখানেই নিতান্ত আনন্দের ফেরিওয়ালা হয়ে আসেন এক ব্যক্তি৷ সিরিয়ার বাচ্চাদের যন্ত্রণাদীর্ণ দিনের কথা নিয়ে কম সহানুভূতির ঢেউ তো ওঠে না! এমনকী ‘পোকেমন গো’ পর্যন্ত নাকি তাদের ব্যথায় ব্যথিত৷ কিন্তু সে ভার লাঘবের ব্যবস্থা কে করেছে? রাজনীতি, যুদ্ধ, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের গেরোয় আটকে পড়েছে সবকিছু৷ কিন্তু তিনি এ সবের তোয়াক্কা করেননি৷ রামি আধম নামে এই ব্যক্তি যেন কাঁটাতারের ঊর্ধ্বে৷ কেননা তাঁর সম্বল খেলনা, আর পাওনা বাচ্চাদের খুশি৷

Advertisement

albalad_1474888209_725x725আদতে ফিনল্যান্ডের বাসিন্দা তিনি৷ নিজেও পিতা৷ নিজের সন্তানরা যখন হাতে খেলনা পায় তখন তাদের আনন্দ দেখেন তিনি৷ আর সেই মুহূর্তেই মনে পড়ে সিরিয়ার বাচ্চাদের কথা৷ যুদ্ধের অন্ধকারে মাথা গুঁজে আছে যাদের শৈশব৷ আর তাই ঠিক করেছিলেন খেলনা নিয়ে পৌঁছে যাবেন তাদের কাছে৷ সেইমতো ছয়-সাত ঘণ্টা হেঁটেই পৌঁছে যান সিরিয়ায়৷ আর তিনি আসামাত্রই পাড়ায় পাড়ায় রটে যায়, আঙ্কল টয় এসেছে…

Advertisement

কিন্তু সিরিয়ায় এভাবে যাওয়ার বিপদ তো কম নয়! গত পাঁচ বছরে প্রায় বার আঠাশ তিনি সিরিয়ায় গিয়েছেন৷ প্রতিবার বুলেটের ভয় মাথায় নিয়েই গিয়েছেন৷ প্রতিবারই তাঁর তুর্কি ও সিরিয়ার বন্ধুরা তাঁকে পৌঁছতে সাহায্য করেছে৷ কিন্তু জীবনের ঝুঁকি থাকেই৷ যে কোনও মুহূর্তে হয়তো খেলনাওয়ালার যাত্রা বন্ধ হয়ে যেতে পারে৷ তবু তিনি কাঁধে তুলে নেন তাঁর ব্যাগ৷ আর ঝুঁকি নিয়েই রওনা দেন সিরিয়ার দিকে৷ কেননা তাঁর সামনে তখন খেলা করতে থাকে আনন্দে ঝলমলে সিরিয়ার বাচ্চার মুখগুলো৷ বহু তত্ত্ব, আলোচনা, সোশ্যাল মিডিয়ার ঢক্কানিনাদ পেরিয়ে সামান্য দুটো খেলনা বাচ্চাদের হাতে তুলে দিয়ে তাদের আনন্দে যে প্রশান্তি তিনি পান তার তুলনা আর কোথাও নেই৷ আর তাই বুলেট এড়িয়েই বারবার ছুটে যান৷

সম্প্রতি নিজের এই যাওয়া-আসার কথা ভিডিওয় বলেছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়৷ তাঁর এ কাজ যে কেউ চাইলে বন্ধ করে দিতে পারেন৷ কিন্তু তিনি বলছেন, যতদিন পারবেন ততদিন এ কাজ তিনি চালিয়ে দেবেন৷ কেননা হাতে খেলনা পাওয়া কচি কচি মুখের আলোগুলো নিভে যাক তা চান না সিরিয়ার ‘সান্তা ক্লজ’৷

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ