Advertisement
Advertisement

Breaking News

Twitter Suspends 70000 Accounts

ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলার ষড়যন্ত্রে ইন্ধন! ৭০ হাজার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল টুইটার

দু'দিন আগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অ্যাকাউন্টও বন্ধ করেছিল তারা।

Twitter Suspends 70,000 Accounts Linked To Pro-Trump QAnon Conspiracy। Sangbad Pratidin
Published by: Soumya Mukherjee
  • Posted:January 12, 2021 10:55 am
  • Updated:January 12, 2021 2:54 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে হামলা চালানোর ষড়যন্ত্র করেছিল। ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ফের মার্কিন প্রেসিডেন্টের আসনে বসানোর ছকে চেষ্টা হয়েছিল আমেরিকায় অভ্যুথান ঘটানোর! এই অভিযোগে ৭০ হাজার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করল টুইটার। সোমবার একটি ব্লগের মাধ্যমে একথা ঘোষণা করছে কর্তৃপক্ষ।

ওই অ্যাকাউন্টগুলির মাধ্যমে গত সপ্তাহে ক্যাপিটল হামলার পটভূমি তৈরি করা হয়েছে বলেও অভিযোগ জানিয়েছে টুইটার (Twitter) কর্তৃপক্ষ। সোমবার তারা এবিষয়ে তারা অভিযোগ করেছে, ওয়াশিংটন ডিসিতে যে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটেছে তার পিছনে ওই টুইটার অ্যাকাউন্টগুলির যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে বলে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। এমনকী গত শুক্রবার থেকে আমেরিকার বিভিন্ন প্রান্তে যে হিংসা ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে এর জন্য পাকাপাকিভাবে এখনও পর্যন্ত ৭০ হাজারের বেশি টুইটার অ্যাকাউন্ট বন্ধ করা হয়েছে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: যৌন অপরাধের দায়ে ১০৭৫ বছরের কারাদণ্ড তুরস্কের ধর্ম প্রচারকের]

এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প (Donald Trump) বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের অভিযোগ আনতে বদ্ধপরিকর হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। মার্কিন ক্যাবিনেট ও বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সকে তিনি চাপ দিচ্ছেন, সাংবিধানিক শক্তি প্রয়োগ করে ট্রাম্পকে পদচ্যুত করতে। পেলোসির বক্তব্য, ক্যাপিটল কাণ্ডের পরে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, গণতন্ত্রের প্রতি অত্যন্ত বিপজ্জনক ট্রাম্প। তার জেরে সোমবার হাউসে ডেমোক্র‌্যাটরা ট্রাম্পকে বরখাস্ত করতে প্রস্তাব পেশ করেছেন। ক্যাপিটল কাণ্ডে তাঁর বিরুদ্ধে ‘বিদ্রোহে প্ররোচনা’ দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি, হামলার আগেই একটি সভায় ভাষণ দেন ট্রাম্প। তারই জেরে তাঁর সমর্থকরা উত্তেজিত হয়ে ক্যাপিটলে হিংসা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন।

Advertisement

তাই ট্রাম্পকে সরাতে বদ্ধপরিকর পেলোসি। সহকর্মীদের পাঠানো একটি চিঠিতে তিনি লিখেছেন, প্রথমে ভোটের মাধ্যমে ঠিক করতে হবে যে, পেন্সকে ২৫তম সংশোধনী প্রয়োগ করে ট্রাম্পকে সরতে বলা হবে কি না। তা না হলে চব্বিশ ঘণ্টা পরে ট্রাম্পের ইমপিচমেন্ট নিয়ে আইনি পথে যাবে মার্কিন হাউস। ভারতীয় সময়ে সোমবার রাত সাড়ে ন’টায় প্রস্তাব পেশ হয়। তবে হাউস রুলস চেয়ারম্যান জিম ম্যাকগভার্ন বলেছেন, ভোট আগামী বুধবার হবে বলে তাঁর ধারণা।

এদিকে, ট্রাম্পের পদত্যাগের দাবিও জোরদার হচ্ছে। দু’জন রিপাবলিকান সেনেটর বলেছেন, ক্যাপিটল তাণ্ডবের জেরে ট্রাম্পের এখনই পদত্যাগ করা উচিত। এঁরা, পেনসিলভেনিয়ার প্যাট টুমি এবং আলাস্কার লিসা মুর্কোস্কি। মার্কিন আইনপ্রণেতাদের অনেকের মতে, ট্রাম্পের প্রশাসনে প্রত্যাবর্তনের উপরেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা উচিত। ক্যাপিটল কাণ্ডের জেরে ব্লু ক্রস, সিটিগ্রুপের মতো কর্পোরেট সংস্থা রিপাবলিকানদের আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে দিচ্ছে।

অন্যদিকে, প্রেসিডেন্ট হিসাবে তাঁর শেষ দিন কাদের ক্ষমা করবেন, সেই তালিকা চূড়ান্ত করে ফেলেছেন ট্রাম্প। সূত্রের খবর, নিজেকেও ক্ষমাপ্রাপ্তের তালিকায় রাখতে পারেন তিনি। এ ছাড়া তালিকায় আছেন হোয়াইট হাউসের কয়েকজন সিনিয়র কর্মী, ট্রাম্প পরিবারের সদস্য এবং বিখ্যাত র‌্যাপ তারকারা। তবে ট্রাম্প নিজেই নিজেকে ক্ষমা করতে পারেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। এমন পদক্ষেপ তাঁর রাজনীতিতে ফেরাও কঠিন করে দিতে পারে। কারণ এতে ট্রাম্প প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত দেবেন যে, তিনি অপরাধী।

সোমবার আবার হোয়াইট হাউস ওয়েবসাইটে মেলানিয়া ট্রাম্প লেখেন, ক্যাপিটল কাণ্ডে তিনি হতাশ এবং দুঃখিত। ‘এই দুঃখজনক ঘটনার প্রেক্ষিতে আমাকে ঘিরে গুজব রটছে। আমাকে আক্রমণ করা হচ্ছে। এই সময়টা আমাদের দেশ ও নাগরিকদের নিরাময়ের সময়। এটাকে ব্যক্তিগত লাভের জন্য যেন ব্যবহার না করা হয়।’

[আরও পড়ুন: তিব্বতে সামরিক পরিকাঠামো নির্মাণ চিনের, উপগ্রহ চিত্রে ফাঁস লালফৌজের চক্রান্ত]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ