সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্কঃ শহরের প্রাণকেন্দ্রে খোলা রাস্তার ওপর তৈরি হয়েছে মঞ্চ। মঞ্চের ওপর মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছেন দুই যুবক। তাঁদের পিঠে বেত মারছেন কালো মুখোশধারী দুই জন লোক। আর সেই দৃশ্য দেখে উল্লাসে ফেটে পড়ছে উপস্থিত জনতা। সমকামিতার শাস্তির নামে এমনই মধ্যযুগীয় বর্বরতার সাক্ষী থাকল ইন্দোনেশিয়ার আচে প্রদেশ।
[৩১ মে ধ্বংস হবে পৃথিবী! ভাইরাল ভিডিও]
একটা সময় ছিল যখন সমকামিতাকে অপরাধ বলে মনে করা হত। তবে সে ধারণা এখন অতীত। এটাকে স্বাভাবিক ব্যাপার বলে মেনে নিয়েছে গোটা বিশ্ব। ইউরোপের বহু দেশে তো সমকামীদের বিবাহও আইনসিদ্ধ হয়ে গিয়েছে, ভারতেও সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সমকামিতা আর ফৌজদারি অপরাধ নয়। কিন্তু এসব আধুনিক বিশ্বের ব্যাপার, মুসলিম প্রধান ইন্দোনেশিয়ায় আচে প্রদেশে সেদেশের ফৌজদারি আইনের পাশাপাশি শরিয়তি আইন বলবত রয়েছে। এখানে সমকামিতা গুরুতর অপরাধ।
[পাকিস্তানে আটক ব্যক্তির ‘কনস্যুলার অ্যাকসেস’ চাইল ভারত]
সাজাপ্রাপ্ত ওই দুই যুবকের নাম প্রকাশ করেনি প্রশাসন। তবে জানা যাচ্ছে, আচে প্রদেশের রাজধানী বান্দা আচে শহরে একসঙ্গেই থাকতেন ওই দুই যুবক। গত মার্চে তাঁদের বাড়িতে হানা দেয় নজরদারি বাহিনী। দুজনকে আপত্তিকর অবস্থায় ধরে ফেলে তারা। বেধড়ক মারধর করা হয় ওই দুই যুবককে। বেশ কিছুদিন তাঁদের আটকেও রাখা হয়। শরিয়তি আইন মোতাবেক, ওই দুই যুবককে প্রকাশ্যস্থানে ৮৩ ঘা বেত মারার নিদান দেন মুসলিম ধর্মগুরুরা। স্থানীয় মুসলিম ধর্মগুরুদের সংগঠনের সদস্য আবদুল গনি ইসা বলেছেন, শরিয়ত আইন মেনেই অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এটা আমজনতার কাছে শিক্ষণীয় বিষয়। এতে কোনও মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়নি।
সমকামিতার অপরাধে দুই নিরীহ যুবককে এইভাবে বেত্রাঘাতের তীব্র নিন্দা করেছে মানবাধিকার সংগঠনগুলি।
[প্রকাশ্যে গিন্নির ‘চাপড়’, অস্বস্তিতে খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.