সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জো বাইডেন বনাম ডোনাল্ড ট্রাম্প! বেনজির রাজনৈতিক সংঘাত দেখছে আমেরিকা। ২০২৪-এ প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনকে কেন্দ্র করে টানটান নাটক শুরু হয়েছে মার্কিন মুলুকে। এই প্রেক্ষাপটে এবার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট তদন্ত শুরু করল মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস।
সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ছেলে হান্টার বাইডেনের ‘ব্যবসায়িক দুর্নীতি’কে হাতিয়ার করে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। পালটা, সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। বলে রাখা ভালো, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দল রিপাবলিকানদের দখলে রয়েছে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভস। অন্যদিকে, উচ্চকক্ষ সেনেটের রাশ রয়েছে বাইডেনের দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির হাতে। তাই বিশ্লেষকদের মতে, নিম্নকক্ষে ইমপিচমেন্ট প্রস্তাব পাশ হলেও সেনেটে তা আটকে যাবে। এটা আদ্যান্ত শাসকদলের উপর পালটা চাপ তৈরির কৌশল।
ইমপিচড হলে কী হয়? ইমপিচমেন্টের লক্ষ শুধু বর্তমান কোনও পদাধিকারীকে পদ থেকে সরানো নয়, ভবিষ্যতে যাতে তিনি সেই পদে ফের প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করতে পারেন, সে দিকটা নিশ্চিত করা। ফলে বাইডেন (Joe Biden) ইমপিচড হলে তিনি আর প্রেসিডেন্ট পদের লড়াইয়ে নামতে পারবেন না। এর আগে দুবার ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়ার মুখোমুখি হতে হয়েছিল প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে।
উল্লেখ্য, পুত্র হান্টারের ব্যবসা থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন বাইডেন, বেশ কয়েকদিন ধরেই এমন প্রশ্ন উঠছে আমেরিকার রাজনৈতিক মহলে। সেই প্রশ্ন হাতিয়ার করেই প্রেসিডেন্ট বাইডেনকে বেকায়দায় ফেলতে চাইছে রিপাবলিকানরা। কয়েকদিন আগেই পেনসিলভ্যানিয়ায় নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে সেই বিষয়টিই তুলে ধরেন ট্রাম্প। সমর্থকদের সামনে তিনি বলেন, “ডেমোক্র্যাটদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে যে রিপাবলিকান এমপিরা সরব হবে না, তাদের অবিলম্বে সংসদ থেকে বের করে দেওয়া উচিত। আমাদের দলে প্রচুর যোগ্য প্রার্থীরা রয়েছেন। যাদের বের করে দেওয়া হবে তাদের জায়গায় অনায়াসে জয়ী হতে পারবেন রিপাবলিকান প্রার্থীরা।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.